শুক্রবার ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু কাঠের ভবন

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু কাঠের ভবন

কাঠ দিয়ে তৈরি সুউচ্চ ভবন খুব কমই দেখা যায়। এবার অস্ট্রেলিয়া এক্ষেত্রে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। দেশটিতে কাঠ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ৫০ তলা ভবন। বিশেষজ্ঞরা এটিকে ‘বৈপ্লবিক’ বিষয় বলছেন। এরই মধ্যে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় পার্থ শহরে এ ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সন্দেহাতীতভাবে এটি হতে যাচ্ছে কাঠ দিয়ে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন।

দক্ষিণ পার্থের সি-৬ ভবনটিতে থাকবে ৪২ শতাংশ কাঠ। এর বিম, মেঝে, সংযোগসহ বিভিন্ন অংশে কাঠের ব্যবহার থাকবে। তবে এর ভিত্তি ও মূল থামগুলো তৈরি করা হবে কংক্রিট দিয়ে। থাকবে কাচের ব্যবহারও। নগরীর ৬ চার্লিস স্ট্রিটে নির্মিতব্য এ ভবনের উচ্চতা হবে ৬২৭ ফুট; থাকবে ২০০টির বেশি অ্যাপার্টমেন্ট। এটি হবে বসবাস উপযোগী এবং এর ছাদে থাকবে বাগান। ভবনটি শক্তিশালী করতে কাঠের পাশাপাশি স্টিলেরও যথেষ্ট ব্যবহার করা হবে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর পার্থের ইনার সাউথ জয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যাসেসমেন্ট প্যানেল এ ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়। নির্মাণ প্রতিষ্ঠান গ্রেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট বলছে, ভবনটি হবে ‘কার্বন নেগেটিভ’। এটি হবে অপেক্ষাকৃত অনেক কম ওজনের। নির্মাণকারীদের প্রত্যাশা, ভবনটি টিকবেও বহুদিন।

অস্ট্রেলিয়ায় এর আগেও কয়েকটি কাঠের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলো ছিল স্বল্প উচ্চতার। সম্প্রতি দেশটিতে আরেকটি কাঠের ভবন তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যেটি উচ্চতায় সি-৬ এর কাছাকাছি। ওই ভবনটি সিডনিতে নির্মাণাধীন। সেটি হবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাটলাসিয়ানের সদরদপ্তর। এর উচ্চতা হবে ৫৯০ ফুট (সি-৬ থেকে ৩৭ ফুট কম)। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু কাঠের ভবন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে। সেখানে ২৫ তলার ওই ভবনের উচ্চতা ২৮২ ফুট। এটি সি-৬ ভবনের অর্ধেকের চেয়েও কম উঁচু।

সি-৬-এর নকশাকারী ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রেজার অ্যান্ড পার্টনারসের প্রধান রিডি ডিক্সন বলেন, এ প্রকল্প নির্মাণের কোনো সময়সীমা নির্ধারিত নেই। এটি একটি বৈপ্লবিক প্রকল্প। ভবিষ্যতের নির্মাণশিল্পকে এ ভবন চ্যালেঞ্জ জানাবে। নির্মাণকারীদের দাবি, ভবন নির্মাণে সাত হাজার ৪০০ কিউবিক মিটার কাঠের প্রয়োজন হবে। প্রকল্পের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, ভবন নির্মাণে প্রয়োজন পড়বে ৫৮০টি পাইন গাছ।
নির্মাণ প্রতিষ্ঠান গ্রেঞ্জ ডেভেলপমেন্টের পরিচালক জেমস ডিবল বলেন, সি-৬ নির্মাণের ক্ষেত্রে তারা জলবায়ু সচেতনতার বিষয়টি মাথায় রাখছেন। ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের স্কুল অব বিল্ট এনভায়রনমেন্টের ফিলিপ ওল্ডফিল্ড বলেন, সাধারণত আমরা উঁচু ভবন বানাই কংক্রিট দিয়ে। এতে সিমেন্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কার্বন নির্গমন ঘটে। তবে কাঠের এ ভবনকেও তিনি ‘কার্বন নেগেটিভ’ বলতে রাজি নন।

বর্তমানে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের ১১ শতাংশ উৎপন্ন হয় নির্মাণাধীন ভবন থেকে। এরমধ্যে কেবল সিমেন্টই আট শতাংশ কার্বনের জন্য দায়ী। এ কারণে কাঠ দিয়ে তৈরি ভবন পরিবেশের জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো বলেও মনে করেন অনেকে। তবে এতে খারাপ দিকও আছে। এসব ভবন নির্মাণে প্রয়োজন হবে বিপুল সংখ্যক গাছ। এতে বন উজাড়করণ বাড়বে। এছাড়া অগ্নিদুর্ঘটনায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঝুঁকিও রয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:০১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(235 বার পঠিত)
(204 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]