নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো ইসরায়েলের বিমান ও স্থল হামলার সম্মুখ সারিতে পড়ে গেছে। হাসপাতালগুলো লক্ষ্য করে দফায় দফায় হামলা চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে উপত্যকার বৃহত্তম আল শিফা হাসপাতাল পুরো বিশ্বের মনোযোগ কেড়েছে। হাসপাতালটি ঘিরে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে সেখানে থাকা মৃতদেহ পচন ধরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। অবশেষে হাসপাতালটিতে গণকবর খুঁড়ে ১৭৯ জনকে সমাহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া উপত্যকার প্রায় সব হাসপাতাল প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
যদিও ইসরায়েল বলছে, তারা সরাসরি হাসপাতালগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে না। তবে আল শিফা ও অন্যান্য হাসপাতালের আশপাশে সংঘর্ষের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
হামলা ও জ্বালানি সংকটের কারণে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল আল-কুদসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে বলে গত রোববার জানায় ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট। একই কারণে গত শনিবার থেকে আল শিফা হাসপাতালের চিকিৎসাসেবাও স্থবির হয়ে পড়ে। এ ছাড়া শাতি ক্যাম্পে থাকা আল-সুইদি (সুইডিশ) ক্লিনিক শনিবার বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে একটি ইসরায়েলি বুলডোজার দিয়ে হাসপাতাল ভবনটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হয়। তবে উত্তর গাজার আল-আহলি হাসপাতালের কার্যক্রম এখনও সীমিত আকারে চালু রয়েছে। ওই হাসপাতালটিও ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ঘিরে রেখেছে।
গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর গাজায় জ্বালানি ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ২২টি হাসপাতালসহ ৩৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হাতেগোনা কয়েকটি এখন চালু রয়েছে।
Posted ৫:৪৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin