নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাসের হাতে আটক ৫০ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ১৫০ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তি দেবে ইসরায়েল। তবে কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের গ্রেফতার করা অব্যাহত রেখেছে হানাদার ইসরায়েলি বাহিনী।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) ১৭ জন ফিলিস্তিনিকে পশ্চিম তীর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রিজনার ক্লাব। হাজার হাজার এই ফিলিস্তিনি বন্দিরা কতদিন ধরে ইসরায়েলের কারাগারে রয়েছেন বা এর পেছনের কাহিনি কী তা অনেকেরই অজানা।
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার দেওয়া তথ্য মতে, ইসরায়েলের কারাগারে এখন বন্দি রয়েছেন ৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এরমধ্যে ৩০০ শিশু ও ৭২ জন নারী। এদের মধ্যে ২ হাজার ফিলিস্তিনিকে কোন কারণ ছাড়াই বন্দি করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরু পর থেকে ৩ হাজার ফিলিস্তিনিকে বন্দি করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে ১৪৫জন শিশু, ৩৭জন সাংবাদিক।
গাজায় ২২ লাখ ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ জীবনযাপন করেন। এরমধ্যে কখনো না কখনো ইসরায়েলের কারাগারে ছিলেন এমন সংখ্যা নেতাহ কম না।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল যখন গাজা, পশ্চিম তীর, জেরুজালেম দখল করে তখন আনুমানিক ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে তারা বন্দি করে। সামরিক আদেশের আওতায় অভিযুক্ত করে প্রতি পাঁচ ফিলিস্তিনের মধ্যে থেকে একজনকে সেসময় গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে ফিলিস্তিনিদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ইসরায়েল এক হাজার ৬০০টি সামরিক নির্দেশ জারি করেছে। ফিলিস্তিনি পুরুষের ক্ষেত্রে হিসাব করলে প্রতি পাঁচ জনে দুই জন অন্তত একবার গ্রেপ্তার হয়েছেন।
২০০৬ সালে গাজা সীমান্তে একজন ইসরায়েলি নাগরিককে অপরণ করে হামাস। পাঁচ বছর তাকে বন্দি রাখার পর মুক্তির বিনিময়ে এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল।
চলমান যুদ্ধবিরতির প্রথমদিন ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। দ্বিতীয় দিনে আরো ৩৯জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ২৪ জিম্মি এবং দ্বিতীয় দিন ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
Posted ১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin