নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৯ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি রেকর্ড পরিমাণে সম্প্রসারিত হয়েছে। এর ফলে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বাস্তব সম্ভবনা নির্মূলের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এসব কথা বলেছেন।
শুক্রবার বিবৃতির পাশাপাশি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন ভলকার তুর্ক। এই প্রতিবেদনটি মার্চের শেষের দিকে জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলে উপস্থাপন করা হবে। জাতিসংঘের নিজস্ব পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি অন্যান্য উৎসেরর ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় নতুন ২৪ হাজার ৩০০টি হাউজিং ইউনিট বা অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা।
(ইসরায়েলের) মন্ত্রিসভার নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে এবং গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যেই পশ্চিম তীরে শুরু হয়েছে এই প্রকল্পের কাজ, শুক্রবার জমা দেওয়া ১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের পর এই প্রথম পশ্চিম তীরে এত বেশি সংখ্যক অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইসরায়েলের সরকার।
প্রতিবেদন জমা পড়ার পর এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান ভোলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই নতুন আবাসন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো দখলকৃত এলাকাগুলো থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে সেখানে ইসরালের জনসংখ্যার বিস্তার ঘটানো। নিশ্চিতভাবেই এটি একটি যুদ্ধাপরাধ।
পশ্চিম তীরে বসবাসরত ফিলিস্তিনি এবং ইহুদি বসতকারীদের মধ্যে দাঙ্গা-সংঘাত বিরল কোনো ঘটনা নয় তবে মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ব্যাপকভাবে বেড়েছে দাঙ্গা-হাঙ্গামার হার। দু’পক্ষের সংঘাতে গত ৫ মাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ শতাধিক ফিলিস্তিনি।
এ ইস্যুতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। আইডিএফ বলেছে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা থেকে ‘শিক্ষা নিয়ে’ গত কয়েক মাস ধরে পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে আইডিএফ এবং ইসরায়েলি পুলিশ। সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন এই চার শতাধিক ফিলিস্তিনি। নিহত ফিলিস্তিনিদের ‘জঙ্গি’ বলেও দাবি করেছে আইডিএফ।
Posted ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৯ মার্চ ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin