নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ নিতে গিয়ে সমুদ্রে ডুবে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ত্রাণের বস্তা মাথায় পড়ে ১২ জন এবং ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য-বিষয়ক কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্সের এক ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া সমুদ্র সৈকতের দিকে বহু মানুষ বিমান থেকে সমুদ্রে ফেলা ত্রাণ সংগ্রহের জন্য দৌড়াচ্ছে। এছাড়া কিছু মানুষকে সমুদ্র থেকে মরদেহ তুলে বালুতে রাখতেও দেখা গেছে।
এদিকে, পেন্টাগন জানায়, সোমবার (২৫ মার্চ) গাজায় বিমানের সাহায্যে ফেলা ১৮টি ত্রাণবান্ডিলের মধ্যে ৩টি প্যারাসুটের ত্রুটির কারণে পানিতে পড়ে গেছে। তবে এসব সংগ্রহ করতে গিয়ে কারো মৃত্যু হয়েছে কি-না, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত হতে পারেনি।
আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো বলেছে, প্রয়োজনীয় ত্রাণের মাত্র এক পঞ্চমাংশ গাজায় প্রবেশ করছে। কারণ, ইসরাইল এখনো আকাশ ও স্থলপথে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে চালানো হামলার কারণে উপত্যকাটি এরই মধ্যে দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছে।
সংস্থাগুলো আরও বলেছে, হামাস-পরিচালিত গাজার সমুদ্র সৈকতে সরাসরি বিমান বা সমুদ্রপথে যে পরিমাণ ত্রাণ আসছে, তা ইসরাইল ও মিশরের স্থলপথ দিয়ে যে পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা আসবে তার বিকল্প হতে পারে না।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা হয় গাজার উত্তরাঞ্চলে ভূমধ্যসাগর তীরের কাছে। এ সময় ত্রাণের বস্তা মাথায় পড়ে নিহত হন ১২ জন এবং সেই ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে মারা যান আরও ৬ জন।
এছাড়া এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে বিমান থেকে ত্রাণের বস্তা ফেলা বন্ধ করুন। তার পরিবর্তে সড়ক পথে ত্রাণ পাঠানোর ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে, সেসব দূর করতে পদক্ষেপ নিন।’
Posted ৩:২০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin