নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ | প্রিন্ট
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্ভাব্য স্থল আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রায় চার লাখ ৫০ হাজার মানুষ শহরটি ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।
মঙ্গলবার (১৪ মে) ইউএনআরডব্লিউএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পূর্ব রাফাহ থেকে ফিলিস্তিনিদের জন্য সরে যাওয়ার আদেশ জারি করার একদিন পর গত ৬ মে থেকে প্রায় চার লাখ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।’
সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া সেই বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ আরো বলছে,‘ বাস্তুচ্যুত এই পরিবারগুলো ক্রমাগত ক্লান্তি, ক্ষুধা এবং ভয়ের সম্মুখীন। তাদের যাওয়ার মতো নিরাপদ জায়গা নেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতিই আমাদের একমাত্র আশা।’
প্রসঙ্গত, গত ৬ মে রাতে হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হওয়ার পর সেটাকে উপযুক্ত নয় বলে প্রত্যাখ্যান করে নেতানিয়াহু সরকার। একই সঙ্গে ইসরায়েল রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান চালানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার মিশরের সঙ্গে রাফাহ ক্রসিং- গাজায় প্রবেশের একমাত্র দখল করে নেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এর আগে একই দিন এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা পোস্টার, ক্ষুদে বার্তা, ফোনকলের মাধ্যমে রাফায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনিদের নির্দিষ্ট এলাকায় চলাচল না করতে উৎসাহিত করছে। একই সঙ্গে রাফাহর পূর্ব অংশে থাকা ফিলিস্তিনিদের অতি শিগগিরই একটি মানবিক এলাকায় চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, যা একটি স্থল হামলার আগে বেসামরিক নাগরিকদের স্থানান্তরের সূচনা বলে মনে করা হচ্ছে।
মূলত ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বিরোধিতা সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘হামাসের বাকি ব্যাটালিয়নগুলোকে’ পরাজিত করতে রাফাহ আক্রমণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েল রাফাহতে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনার ফলে বৈশ্বিক সমালোচনার মুখে পড়েছে। কারণ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল হিসেবে সেখানে ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন, যা গাজার মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ।
এদিকে রাফাহতে হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তবে ইসরায়েলের দাবি, রাফাহতে লুকিয়ে থাকা হাজার হাজার হামাস যোদ্ধাকে পরাস্ত করতে তাদের অবশ্যই সেখানে হামলা করতে হবে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
Posted ১:১৮ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin