শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবার সক্রিয় ১/১১-এর কুশীলবরা, টার্গেট সংসদ নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট

আবার সক্রিয় ১/১১-এর কুশীলবরা, টার্গেট সংসদ নির্বাচন

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও ১/১১-এর কুশীলবরা তৎপর হয়ে ওঠেছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারকে বিতর্কিত করতে একটা সংবাদ প্রকাশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি প্রভাবশালী বিভিন্ন দেশও বাংলাদেশের বিষয়ে অতি উৎসাহী হয়ে ওঠেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (৮ এপ্রিল) ভারতের বাংলা ভাষাভাষীদের জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার বিষয়টিকে তুলে ধরে এমনই এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

চলতি বছর ডিসেম্বর বা তার পরের মাসে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা দিয়ে আনন্দবাজার বলছে, খুবই ঘটনাবহুল হয়ে ওঠেছে বাংলাদেশের রাজনীতি। বাংলাদেশে সচরাচর রমজান মাসে সব রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ থাকলেও এবার সরকারবিরোধী নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে তৎপর বিরোধীরা। থেমে নেই ক্ষমতাসীন দলও।

বিষয়টির কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে আনন্দবাজার কথা বলেছে আওয়ামী লীগের সিনিয়র এক নেতার সঙ্গে। ওই নেতার নাম প্রকাশ না করে দৈনিকটি বলছে, আওয়ামী লীগের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতার দাবি, গোয়েন্দা সূত্রে সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে খবর গেছে, হঠাৎই একটি বিদেশি শক্তি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অতি সক্রিয় হয়ে ওঠেছে।

এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে বলেও মনে করেন শাসক দলের নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, প্রভাবশালী সংবাদপত্র গোষ্ঠী অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিদেশি শক্তির তৎপরতায় ‘অংশ নিয়েছে’। এবারও তাদের বিশ্বাস করার প্রশ্ন নেই।

এ অবস্থায় বিশেষ একটি দৈনিকের ‘ভুল’কে সামনে এনে আওয়ামী লীগ তার তরুণ নেতা বিপ্লব বড়ুয়া এবং তারানা হালিমের নেতৃত্বে ওই সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে দলের বিভিন্ন সংগঠনকে রাস্তায় নামিয়েছে, বলছে আনন্দবাজার।

বিদেশি শক্তির কোন তৎপরতা নজর কেড়েছে সরকারের—এ বিষয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত নানা জনের সঙ্গে মার্কিন দূতাবাস যোগাযোগ করছে। ঢাকার পাশাপাশি বেছে নেয়া হয়েছে কলকাতাকেও। সম্প্রতি হাসিনা সরকারের বিরাগভাজন এক নামি অর্থনীতিবিদ কলকাতায় মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে বৈঠক করেছেন। আসামের কোকড়াঝাড়ে একটি সম্মেলনে তার উপস্থিতিও বাঁকা চোখে দেখছে ঢাকা। জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতাকর্মীকেও কলকাতায় দেখা যাচ্ছে। খবর পেয়ে বাংলাদেশের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সম্প্রতি কলকাতা সফর করেছেন।

ওই নামি বিশেষ ব্যক্তির বিষয়ে আনন্দবাজার আরও জানিয়েছে, ২০০৭-এর ১১ জানুয়ারি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনাপ্রধান মিলে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশের ওই নামি অর্থনীতিবিদের নেতৃত্বে সরকার গঠনে তৎপর হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি— দুই দলই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তা বাস্তবায়িত হয়নি। এরপর শেখ হাসিনা ফের ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু তার সরকারের সঙ্গে ওই অর্থনীতিবিদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি।

দৈনিকটি আরও বলেছে, সম্প্রতি তার প্রতি উপযুক্ত আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে বিশ্বের বিশিষ্ট ৪০ জনের স্বাক্ষর করা একটি আবেদন সম্প্রতি বিজ্ঞাপন হিসেবে মার্কিন একটি সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয়। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এ বিজ্ঞাপনের কথা উল্লেখ করে ক্ষোভ জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের অভিযোগ, ঢাকার বিশেষ সংবাদপত্র গোষ্ঠী সেই সময়ে অভ্যুত্থানকারীদের পক্ষে ছিল। এবারও তাদের বিশ্বাস করার প্রশ্ন নেই।

১/১১-তে কারা সক্রিয় ছিল
২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা ২০ বছর ধরে আমার বিরুদ্ধে লিখে যাচ্ছে। কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকে এ দুটি পত্রিকা আমি পড়ি না। কারণ তারা কী লিখবে তা আমি জানি। তারা ভালো কিছু লিখলেও শেষের দিকে আমাকে নিয়ে খোঁচা দেয়। এ খোঁচা খেয়ে আমি আত্মবিশ্বাসে হোঁচট খাব। তাহলে পত্রিকা দুটো পড়ব কেন?’

ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘আমাকে দুর্নীতিবাজ বানাতে তার পত্রিকা যতকিছু লিখেছে, সেগুলো নাকি ডিজিএফআই সাপ্লাই দিয়েছে। অথচ প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপরে লেখা থাকে নির্ভীক সাংবাদিকতা। তারা আলোর কথা বলে কাজ করে অন্ধকারের।’

ওই লেখাগুলো ছাপানো হলো, কিন্তু সূত্র লেখা হলো না কেন প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সরকার স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে প্রথমেই আমার ওপর আঘাত করে। আমি তো সরকারে ছিলাম না, তখন বিরোধীদলে ছিলাম। তবে কেন প্রথমে আমাকে গ্রেফতার করা হলো। আমাকে দুর্নীতিবাজ বানাতে ওই দুটি পত্রিকা (প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার) একের পর এক মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়ে গেছে। ডিজিএফআইয়ের ব্রিগেডিয়ার বারী ও আমিনের নির্যাতনের হাত থেকে ওই সময় কেউই রেহাই পায়নি। ব্যবসায়ী-রাজনীতিবিদ, শিক্ষক ছাত্রদের ওপর যারা নির্যাতন করেছে তাদের সঙ্গে কী সখ্য ছিল- তার জবাব কি প্রথম আলোর মতিউর রহমান ও ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনামরা দিতে পারবেন?

প্রধানমন্ত্রী সংসদে আরও বলেন, এই দুটো পত্রিকা হয় ডিজিএফআইয়ের এজেন্ট হয়ে কাজ করেছে নতুবা মাইনাস টু ফর্মুলার সঙ্গে জড়িত ছিল। ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না থাকলে অসত্য সংবাদ ছাপাবে কেন? ব্রিগেডিয়ার আমিন ও বারীর চোখের আলো হয়ে ছিল ওই দুটি পত্রিকা। তাদের কাজই হলো দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক, অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতায় আসুক। এরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আরেকজন জড়িত। নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য মাঠে নেমেছিলেন। একজন সম্পাদক ওই দলের লোক জোগাতে নেমেছিল। কিন্তু কেউ আসেনি। ওই ভদ্রলোককে (ড. ইউনূস) আমিই মোবাইল ফোনের ব্যবসা দিয়েছিলাম। ওই মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে দলের লোক গোছানোর চেষ্টা করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ আইন লঙ্ঘন করে ১০ বছর পর্যন্ত বেশি ছিলেন। তাকে সম্মানজনকভাবে সরতে বলা হলে তিনি মামলা করলেন। তিনি আইন লংঘন করলেন, মামলায় হারলেন, আর সব দোষ শেখ হাসিনার ওপর দিলেন। এমডি পদ হারানোর ক্ষোভ পড়ল পদ্মা সেতুর ওপর। আমেরিকার বন্ধুকে দিয়ে অর্থ বন্ধ করালেন তিনি।

ড. ইউনূস গণতন্ত্রকে ধরাশায়ী করে অগণতান্ত্রিক কিছু এনে লাভবান হতে চান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, অনেকে ভেবেছিল বিশ্বব্যাংক থেকে টাকা না নিয়ে বাংলাদেশ চলতে পারবে না। এদের ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। গণতন্ত্রকে এতটুকু ধরাশায়ী করা যায়, অগণতান্ত্রিক কিছু আসে, তাদের কপাল খুলবে – সেই অবস্থা বাংলাদেশে কখনও হবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

গণমাধ্যমের সঙ্গে মিলে ইউনূসের ষড়যন্ত্র নিয়ে যা বলেন বিশিষ্টজনরা
ডিজিএফআইয়ের দেয়া তথ্যে শেখ হাসিনার নামে ভুল তথ্য ছেপে বেসরকারি এক টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে ক্ষমা চেয়েছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম। ওই কাজকে নিজের সাংবাদিকতা জীবনের অন্যতম ভুল বলেও স্বীকার করে নেন তিনি।

এ বিষয়ে কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী তার লেখায় উল্লেখ করেছিলেন, ‘ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলো এই দুটি পত্রিকার আমি দীর্ঘকালের সমালোচক। কোনো ব্যক্তিগত কারণে নয়, দীর্ঘকাল আগেই আমার মনে হয়েছে, পত্রিকা দুটি সাংবাদিকতার সুষ্ঠু নীতিমালা অনুসরণ করছে না, নিরপেক্ষ সংবাদপত্রতো তারা নয়ই। বিগ বিজনেস, এক শ্রেণির বিগ এনজিও এবং দেশের কায়েমী স্বার্থের পক্ষে তারা নিরপেক্ষতার নামে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরোধিতার নীতি গ্রহণ করেছিল, যা অনেক সময় দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও স্বৈরাচারী মহলগুলোকেও শক্তি যুগিয়েছে।’

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘ডেইরি স্টারের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এটিএন টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নের মুখে সম্পাদক মাহফুজ আনাম স্বীকার করেন যে, সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সরবরাহ করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবরের সত্যতা যাচাই না করেই প্রকাশ করে তার সাংবাদিকতা জীবনের সব চাইতে বড় ভুল তিনি করেছেন।

মাহফুজ আনাম বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অসত্য খবরটি ছাপানো তার সাংবাদিকতার জীবনে সম্পাদক হিসেবে একটা বিরাট ভুল। অভিযোগ উঠেছিল ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলো পত্রিকা দুটি দেশে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের শাসনের অবসান ঘটিয়ে অসাংবিধানিক ও অনির্বাচিত সরকার দ্বারা দেশ পরিচালনার লক্ষ্যে ক্যাম্পেনের অংশ হিসেবে হাসিনাবিরোধী প্রচারণা শুরু করেছিল এবং সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও তাদের মাইনাস টু ফর্মুলাতেও সমর্থন জানিয়েছিল।

উইকিলিকসের ফাঁস হওয়া একটি তারবার্তা বলছে, রাজনৈতিক দল গঠনের অভিলাষে সে সময় কলকাতায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও কথা বলেন ড. ইউনূস।

সেনা সমর্থিত সরকারের মাধ্যমে ড. ইউনূসের রাজনীতিতে আসা ও গণতান্ত্রিক ধারা নষ্টের ষড়যন্ত্র বিষয়ে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘ড. ইউনূস এমন এক সময় রাজনীতিতে আসার ঘোষণা দেন, যখন দেশের রাজনীতি থেকে দুই নেত্রীকে মাইনাস করার পরিকল্পনা করে সেনা সমর্থিত সরকার। ঠিক তখনই সামরিক কর্তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নেন তিনি। রাজনীতিবিদরা কলুষিত এবং পরিবর্তনের লক্ষ্যে সুশীল সমাজের রাজনীতির পক্ষে কথা বলেন ড. ইউনূস। তিনি দেশের গণতান্ত্রিক ধারা নষ্ট করে সেনা সমর্থনে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করেছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন কোনো প্রক্রিয়া পছন্দ করেন না। তিনি রাজনীতি করতে চাইলে স্বাভাবিক ধারায় রাজনীতি করতেই পারেন। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে গণতান্ত্রিক ধারা নষ্ট করে রাজনীতি করবেন তাতো হতে পারে না।’

একজন মানুষ নিজ স্বার্থে যেখানে দেশবিরোধী কাজ করতে পিছপা হন না, এমন ব্যক্তি রাজনীতি করলে দেশের কোনোভাবেই মঙ্গল হতে পারে না বলে দাবি করেন অধ্যাপক এ আরাফাত।

অধ্যাপক আরাফাত বলেন, ‘বন্দুকের নল এবং ১/১১-এর ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়ে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চেয়েছে বা এসেছে, প্রধানমন্ত্রীর তাদের বিষয়ে আপত্তি আছে। পশ্চিমাদের ক্রীড়নক হয়ে ড. ইউনূস দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলেন, এমন প্রক্রিয়াকে শেখ হাসিনা কোনোদিন মেনে নেবে না। তার এমন ষড়যন্ত্র সফল হবে না।’

আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত করতে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো আবারও সক্রিয় হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]