নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
শনিবার তখন সন্ধ্যা। ওই সময় ফেসবুক লাইভে আসেন শাকিল খান নামে এক যুবক। এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের কথা জানান তিনি। এরপর চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। যা সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা-বোনারপাড়া রেল লাইনের স্টেডিয়াম এলাকায়। নিহত শাকিল মিয়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউপির ভগমানপুর (বালুয়া হাসপাতাল) গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় অটোচালক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে রংপুর এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন রংপুরের দিকে যাচ্ছিল। এরই মধ্যে গাইবান্ধা শহরে ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে ট্রেনের নিচে লাফ দেন শাকিল। এতে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।
নিহতের স্বজনরা জানান, এক মাস আগে প্রেম করে প্রতিবেশী শাহিন মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তারকে বিয়ে করেন শাকিল। কিন্তু বিয়ের পর শাকিলকে কোনোভাবেই মেনে নিচ্ছিল না শারমিনের পরিবার। উল্টো শারমিনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছিল। ঘটনার দিন সকালে শাকিলের গায়ে হাত তোলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
নিহতের মামা মাসুম মিয়া বলেন, বিদেশে যাওয়ায় জন্য পাসপোর্ট, ভিসাসহ প্রায় সব প্রস্তুত হয়েছিল। এক মাসের মধ্যেই বিদেশে যাওয়ার কথা। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার, নির্যাতনে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছে শাকিল।
নিহতের বড় ভাই সৌরভ মিয়া বলেন, তাদের (মেয়ের পরিবার) মীমাংসার কথা বলায় ওইদিন সকালে শাকিল এবং আমাকেও মারধর করেছে শ্বশুর শাহিন ও তার লোকজন। ওদের অত্যাচারেই শাকিল আত্মহত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।
রেলওয়ে পুলিশের গাইবান্ধা ফাঁড়ির ইনচার্জ সেতাফুর রহমান বলেন, ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধারের পর ফাঁড়িতে রাখা হয়। রাত ৮টার দিকে স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেন। রোববার সকালে সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
Posted ৪:১৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin