নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
আর মাত্র ছয়দিন পরই বাংলা নববর্ষ। কাজ অনেক কিন্তু সময় কম, তাই তো পয়লা বৈশাখ রাঙাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার মৃৎশিল্পীরা। এমনিতে সারা বছর অনেকটা অলস সময় পার করলেও এ সময় দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। এই একটা উৎসবের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন তারাও।
নববর্ষ উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসে বর্ষবরণ মেলা। সেই মেলায় চাহিদা থাকে নানা রকমের খেলনা, মাটির জিনিসপত্রের। তাই মৃৎশিল্পীরা নিজের হাতে নিপুণ কারুকাজে মাটি দিয়ে তৈরি করেন শিশুদের জন্য রকমারি পুতুল, ফুলদানি, রকমারি ফল, হাঁড়ি, কড়াই, ব্যাংক, বাসন, থালা, বাটি, হাতি, ঘোড়া, কলস, ঘটি, চুলা ও ফুলের টবসহ বিভিন্ন মাটির জিনিসপত্র।
বাপ-দাদার পেশাকে টিকিয়ে রাখতে এখন কেউ কেউ এ পেশার সঙ্গে জড়িত। বেচাকেনা কম বিধায় অনেকেই এ কাজ করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে। অনেকেই তাদের ছেলে-মেয়েকে এ পেশায় আনতে নিরুৎসাহিত করছে। আর এর মূল কারণ বেচা-বিক্রি কম। মানুষ এখন মাটির তৈরি জিনিসের চেয়ে মেলামাইন, প্লাস্টিককে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।
জানা গেছে, নবাবগঞ্জের নয়নশ্রী ইউনিয়নের খানেপুর ও জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাবাজু গ্রামের পালবাড়িসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মৃৎশিল্প ছিল। মৃৎশিল্পীরা মাটির হাঁড়ি-পাতিল, বাসন-কোসন, ঢাকনা, কলসি, ছোট বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রী, পেয়ালা তৈরি করতেন।
তাদের তৈরি পুতুল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে নানা প্রতিকুলতা ও অভাব অনটনের কারণে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার সোনাবাজু গ্রামের পালবাড়ির মৃৎশিল্পীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী বাপ-দাদার আদি পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
Posted ১:২৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin