বুধবার ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঠফাটা রোদে কম্বল বিতরণ বিধায়কের

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট

কাঠফাটা রোদে কম্বল বিতরণ বিধায়কের

টানা ২০ দিনের বেশি বৃষ্টিহীন পশ্চিম বাংলা। কাঠফাটা রোদে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষজন। গত তিন দিনেই হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন অন্তত চারজন। দক্ষিণ বঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর।

এমন অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার করিমপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায় যা করলেন, তাতে প্রশংসার বদলে কপালে জুটছে বিদ্রুপ আর কটাক্ষ। তীব্র তাপদাহে বহু জায়গায় পানি সংকট, তার উপর লোডিং- এই পরিস্থিতির বন্দোবস্ত না করে কম্বল বিতরণ করেছেন তিনি। এরপর থেকেই তার প্রতি চলছে বিরোধীদের সমালোচনা আর কটাক্ষ। মুখ টিপে হাসছেন সাধারণ মানুষ। মানুষের পানি সংকট দূর করার পদক্ষেপ না নিয়ে এভাবে কম্বল বিতরণ করায় বিধায়কের বোধ-বুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

অবশ্য সেসব আমলে নিতে নারাজ বিমলেন্দু সিংহ রায়। কম্বল বিতরণের মধ্যে কোনো ভুল দেখছেন না তিনি। সামনে ঈদ, আর সেই উপলক্ষেই নাকি গরীব মানুষের মধ্যে অন্যান্য জামাকাপড়সহ কম্বলও বিতরণ করেছেন, দাবি তার।

তিনি বলেন, শনিবার ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় বস্ত্র বিতরণ করছি। ধুতি-কাপড়ের সঙ্গে বেশ কিছু কম্বল মজুত ছিল। যদি সাধারণ মানুষের কাজে লাগে সেজন্য সেগুলো দিয়েছিলাম।

তার বক্তব্য, এখন কাজে না লাগলেও পরবর্তীতে তো সেই কম্বল কাজে লাগবে সাধারণ মানুষেরই। সেই কথা ভেবেই নাকি তিনি সেই কম্বলগুলো গরমের মধ্যে বিতরণ করে দেন।

বিমলেন্দু বলেন, একটা ছোট বিষয় নিয়ে কেন এত বিতর্ক হচ্ছে বুঝতে পারছি না। এটা অন্যভাবে বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন রয়েছে। শুধু কম্বলের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু সেখানে যে বাচ্চাদের জামা, প্যান্ট, বড়দের লুঙ্গি বিতরণ করা হলো তা নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছে না।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:২৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(228 বার পঠিত)
(204 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]