নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
গরমের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তীব্র তাপদাহে পুড়ছে কুষ্টিয়াসহ গোটা দেশ। ৫৮ বছরের ইতিহাসে এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেখা নেই বৃষ্টির। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকুল।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুমারগাড়া পূর্বপাড়া দারুল হামদ্ জামে মসজিদ কমিটি ও যুব সমাজের উদ্যোগে মাদরাসা সংলগ্ন ময়দানে প্রশান্তির বৃষ্টির আশায় খোলা আকাশের নিচে প্রচুন্ড তাপমাত্রার মধ্যে সলাতুল ‘ইসতিসকার’ নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এতে অসংখ্য মুসল্লি অংশ নেন।
সালাতুল ইস্তিসকা নামাজের ইমামতি করেন বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসসির পরিষদ কুষ্টিয়া সদর সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ দা’ঈ ইলাল্লহ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুফতি সাইফ উদ্দীন আল-আজাদ।
এ বিশেষ নামাজে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিরা বলেন, কিছুদিন ধরেই কুষ্টিয়ায় তীব্র তাপদাহ চলছে। বৃষ্টি না হওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচণ্ড তাপদাহ, অনাবৃষ্টির কারণে গাছ থেকে আম ঝরে যাচ্ছে। সেচ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। তাই বৃষ্টির জন্য আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ পড়ে দোয়া করা হয়েছে।
হাফেজ মাওলানা মুফতি সাইফ উদ্দীন আল-আজাদ বলেন, গরমের তীব্রতা চরমে পৌঁছেছে। জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (সা.) লোকদের নিয়ে ইসতিসকার (বৃষ্টি প্রার্থনা) সালাত আদায় করতেন। বর্তমান অনাবৃষ্টির সময়ে প্রিয়নবী (সা.)-এর অপ্রচলিত সুন্নাহটি পুনরুজ্জীবিত করা সময়ের দাবি।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহই একমাত্র বৃষ্টি দেওয়ার মালিক। তার কাছেই আমরা বৃষ্টি চেয়ে নতজানু হয়েছি। বিশেষ মোনাজাতে প্রার্থনাও করেছি। নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ফরিয়াদ জানিয়ে দোয়া করার মাধ্যমে সালাতুল ইসতিসকার নামাজের সমাপ্তি হয়।
Posted ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin