নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি সফর অবস্থায় থাকেন, তার জন্য তিনি নামাজ কসর করবেন। এর অর্থ হচ্ছে তিনি চার রাকাত বিশিষ্ট যে নামাজগুলো আছে, সেগুলোর দুই রাকাত আদায় করবেন। কসর শুধু চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজের মধ্যে।
উল্লেখ্য, দুই রাকাত অথবা তিন রাকাত বিশিষ্ট যে নামাজগুলো আছে, যেমন মাগরিব নামাজ, ফজর নামাজ, এর কোনো কসর নেই। অর্থাৎ এটাকে অর্ধেক করার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং সফরের সময় শুধু আসর, এশা এবং জোহরের ওয়াক্তে কসর পড়তে হবে।
কসর আদায়ের বিধান
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে কসর আদায়ের বিধান বান্দার এক ধরনের বড় সুবিধা। পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলা হয়েছে, ‘তোমরা যখন জমিনে সফর করবে, তখন তোমাদের জন্য নামাজের কসর করায়- কোনো আপত্তি নেই’। (সূরা: নিসা, আয়াত: ১০১)
মুসাফির ব্যক্তি সফর অবস্থায় ইচ্ছাকৃত চার রাকাত নামাজ পূর্ণ করলে গুনাহ হবে (তবে মুকিম ইমামের পেছনে হলে অসুবিধা নেই)। এ ক্ষেত্রে নামাজ পুনরায় পড়বে।
আর যদি ভুলক্রমে চার রাকাত শুরু করে দেয় এবং প্রথম বৈঠক করে থাকে, তা হলে সিজদা সাহু করে নিলে ফরজ নামাজ আদায় হয়ে যাবে। আর যদি প্রথম বৈঠক না করে থাকে, তা হলে ফরজ আদায় হবে না, আবারও পড়তে হবে। (বাদায়েউস সানায়ি : ১/৯১)
এবার নারী-পুরুষদের বাবা ও শ্বশুর বাড়িতে কসরের বিধান সম্পর্কে জেনে নিই-
মেয়েরা বিয়ের পর সাধারণত স্বামীর বাড়িতেই স্থায়ীভাবে বসবাস ও সংসার করা শুরু করেন। তখন স্বামীর বাড়িই তাদের মূল বাড়ি হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে।
তাই কোনো মেয়ে বিয়ের পর বাবা বাড়িতে ১৫ দিনের কম সময়ের জন্য বেড়াতে গেলে এবং স্বামীর বাড়ি থেকে বাবারবাড়ি ৪৮ মাইলের দূরত্বে হলে তাকে কসর করতে হবে।
ঠিক একিভাবে কোনো পুরুষ নিজের বাড়ি থেকে ১৫ দিনের কম সময়ের জন্য শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে এবং শ্বশুরবাড়ি ৪৮ মাইলের দূরত্বে হলে তাকে কসর করতে হবে।
আর যদি মেয়েদের বাবার বাড়ি বা ছেলেদের শশুর বাড়ি শরিয়ত নির্ধারিত ৪৮ মাইলের দূরত্বের কমে হয় তাহলে তাদের কসর না পড়ে পুরো নামাজ আদায় করতে হবে। (ফাতাওয়া দারুল উলুম জাকারিয়া-২/৫১৪, ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ-৪/৪৮৩, আপকি মাসায়িল আওর উনকা হল-২/৩৮৩)
Posted ৫:১২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin