নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
দেখা হলে মুসাফাহা বা করমর্দন করা একটি ইসলামি রীতি ও উত্তম চরিত্র। এটি মুসাফাহাকারী ব্যক্তিদ্বয়ের মাঝে ভালোবাসা ও হৃদ্যতার বহিঃপ্রকাশ। অন্যদিকে এটি মুসলমানদের পারস্পারিক হিংসা-বিদ্বেষ ও কলহ দূর করে দেয়।
মুসাফাহা এর ফজিলতের ব্যাপারে একটি মহান হাদিস উদ্ধৃত হয়েছে। সে হাদিসে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘কোনো মুসলিমদ্বয় যদি সাক্ষাত করে পরস্পর মুসাফাহা করে তাহলে তারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বেই তাদের পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়’। (সুনানে আবু দাউদ: ৫২১২; আলবানী ‘সহিহ সুনানে আবু দাউদ’ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন)
এখন প্রশ্ন হলো মুসাফাহা করার পর বুকে হাত দেওয়া কি ইসলাম অনুমোদন করে?
মোসাফাহা করার পর বুকে হাত রাখা নবী করিম (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরাম (রা.) এর থেকে প্রমাণিত নয়। সুতরাং যদি কেহ মোসাফাহা করার পর সুন্নাত মনে করে বা সওয়াবের প্রত্যাশা করে বুকে হাত রাখে বা এটা মোসাফাহার নিয়ম মনে করে তাহলে পরিষ্কার বিদআত হবে। কারণ নবীজি (সা.) বলেন-
عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ أَحْدَثَ فِى أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ
অর্থ: হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আমাদের দ্বীনের মাঝে যে ব্যক্তি নতুন বিষয় আবিষ্কার করে যা তাতে নেই; তাহলে তা পরিত্যাজ্য। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নম্বর: ৪৬০৮, সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর: ২৫৫০, সহিহ মুসলিম: ৪৫৮৯)
মুসাফাহার পর বুকে হাত দেওয়া শুধু প্রথা, যা ইসলামসম্মত নয়। সুতরাং তা থেকে বিরত থাকা উচিত। (রদ্দুল মুহতার : ৬/৩৮১, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১২/১২০)
Posted ১:৫০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin