নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
পিরোজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় জমিতে ধানের শীষে বাতাসের দোলে কৃষকের মুখে হাসি। জেলার ৭টি উপজেলাতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের স্বপ্ন ধান কেটে ঘরে তোলা। তবে এ হাসি ম্লান করে দিতে কালবৈশাখী ঝড়ের আতঙ্কে রয়েছে কৃষকরা। টানা দেড় মাসের তীব্র তাপদাহের পর শুরু হয়েছে ঝড়ো বাতাস শিলাবৃষ্টি। এত অনেকটাই চিন্তিত সোনালী ধান ঘরে তুলতে না পারা কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মতে পিরোজপুর জেলার ৭টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩২ হাজার ৩৯৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এদের মধ্যে পিরোজপুর সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে, নাজিরপুর উপজেলায় ১৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে, মঠবাড়িয়া উপজেলায় ৫ হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমিতে, নেছারাবাদ উপজেলায় ৪ হাজার ৯৭৬ হেক্টর জমিতে, ইন্দুরকানী উপজেলায় ৭১০ হেক্টর জমিতে, ভান্ডারিয়া উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে এবং কাউখালী উপজেলায় ২৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। হাইব্রিড, উফসী ও স্থানীয় তিনটি জাতের অধিক ফলনশীল বোরো ধানে চাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫০ মেট্রিকটন।
জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারের দেয়া বীজ সার দিয়ে পরিচর্যা করে রোগ বালাই থেকে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা শীষে ধান লাল হয়ে ওঠেছে। অনেকে তাদের মাঠের ধান কেটে তুললেও এখনো প্রায় ৬০ ভাগ কৃষকের ধান মাঠে রয়েছে। স্বপ্ন যেনো পুরো মাঠ জুড়ে। তাই কালবৈশাখী ঝড় ও শীলা বৃষ্টিকে ভয় পাচ্ছেন কৃষকরা। এসব চিন্তা করেই বাম্পার ফলনের হাসিটা যেনো কিছুটা মসৃন হয়ে আসে কৃষকদের।
জেলার কৃষকরা জানান, সরকারের দেয়া ধান ও সার পেয়ে কৃষকরা বোরো ধানের চাষ করে। উন্নত বীজ দেয়ার ফলে বোরো ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের বিভিন্ন দু:সময়ে সরকারকে তারা পাশে পেয়েছে বলেই এমন বাম্পার ফলন পাওয়া সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও সার ও ওষুধের দাম মাত্র অতিরিক্ত না বাড়ায় কৃষদের অনেকটা সুবিধা হয়েছে। এখন শুধু স্বপ্ন ঘরে তোলার পালা। কিন্ত কয়েকদিনে মধ্যে কালবৈশাখী ঘড় বাতাস শিলা বৃষ্টি হলে অনেকটাই সমস্যায় পড়বে কৃষকরা। তবে বিল অঞ্চলে শ্রমিক না পাওয়ার কারণে বোরো ধান কাটতে অনেকটাই সময় লেগে যাচ্ছে কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, পিরোজপুর জেলায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বীজ ধান ও সার প্রদান করেছি কৃষকদের। জেলার ৭টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩২ হাজার ৩৯৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। প্রায় ৪০ শতাংশ ধান কর্তন করা হলেও এখনো প্রায় ৬০ শতাংশ ধান মাঠে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যেই অধিকাংশ জমির ধান কৃষক ঘরে তুলবে।
Posted ২:১৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin