নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৮ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
সামনে কোরবানির ঈদ। প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদকে সামনে রেখে পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে সাতক্ষীরায়। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সংকট নেই ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, পাবনা, রাজবাড়ীসহ পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়া জেলাগুলোতে। তবুও এক থেকে দুই মাস আগে যে পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে কেনা যেত, বর্তমানে তা ৬২ থেকে ৬৩ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। আর পরিবহন খরচ দিয়ে সীমিত লাভেই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে।
ভোক্তাদের অভিযোগ, মজুতদাররাই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। ৩০ টাকা কেজির পেঁয়াজ এখন ৭০ টাকা কেজি দলে কিনতে হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম দ্বিগুনেরও বেশি হওয়ায় আগের পরিমাণে এখন কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
সাতক্ষীরার আড়তদাররা বলছেন, বাইরের জেলা থেকে যেমন দরে কেনা হয়, পরিবহন খরচ বাদে স্বল্প লাভে বিক্রি করা হয়। তাদের মতে, পেঁয়াজ আমদানি না হলে দাম কমবে না।
কেন পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তা উৎপাদন হওয়া জেলাগুলোতে গেলেই বুঝা যাবে বলে মনে করেন সাতক্ষীরা কাাঁচমাল ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি আব্দুর রহিম বাবু। আর সিন্ডিকেট ভেঙ্গে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা গেলে পেঁয়াজের দাম কমবে বলে মনে করেন সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহ-সভাপতি এনছার বাহার বুলবুল।
তবে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ হয় ১৫ থেকে ১৮ টাকা। ৭৫ শতাংশ কৃষক উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজ বিক্রি করে দেন। অনেক কৃষক কিছু সংরক্ষণ করলেও পেঁয়াজের দাম চলে গেছে মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, দেশে ২৪ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদার অনুকূলে উৎপাদন হয় ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন। পরিবহন ও সংরক্ষণে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ নষ্ট হয়। তাই প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।
Posted ১:৩৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin