শুক্রবার ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিয়েভের ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে সংকটে পশ্চিমারা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট

কিয়েভের ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে সংকটে পশ্চিমারা

 যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা দিয়ে এলেও জোটের সদস্য পদ দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রসহ কিয়েভের কিছু মিত্র। কিছু দেশ অবশ্য ইউক্রেনকে ন্যাটোতে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।

ইউক্রেনকে জোটে নেওয়ার ক্ষেত্রে একেক সময় একেক শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নতুন করে তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ ছাড়া ন্যাটোর সদস্যভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই ইউক্রেনের। এই দোদুল্যমান অবস্থার মধ্যেই দুই দিনব্যাপী ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন আজ শুরু হয়েছে লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে। সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে। সদস্য পদ দেওয়া না হলে তিনি অংশ নেবেন না বলে আগেই জানিয়েছেন। গত শনিবার ইউক্রেনকে সদস্য পদ দিতে তুরস্কের সমর্থনের পরই বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া– উভয়পক্ষ থেকেই শুরু হয় তুমুল আলোচনা। বিশ্লেষকরা বলছেন, সদস্য পদ না পেলে হতাশ হবে ইউক্রেন। বাইডেন এর আগে দাবি করেন, ন্যাটোর সদস্য পদ পেতে হলে ইউক্রেনকে দুর্নীতি বন্ধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাসহ নানা শর্ত পূরণ করতে হবে। এরপর সেসব শর্ত পূরণে চলমান যুদ্ধের মাঝেই গত বছর দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালান প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। সরিয়ে দেওয়া হয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে আঞ্চলিক সরকারের প্রধানদেরও। কিন্তু গত ৭ জুলাই সিএনএনকে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, সদস্য পদ পেতে হলে আগে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। তাঁর দাবি, নইলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অংশ হয়ে যাবে ন্যাটো। কারণ, ন্যাটোর সদস্যদের সুরক্ষার দায়িত্ব রয়েছে সংস্থাটির। শুধু তাই নয়, সদস্য পদ দেওয়া হলে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের ঝুঁকিও বাড়বে বলে শঙ্কা বাইডেনের। জোটের এই শীর্ষ সম্মেলন থেকে ন্যাটোর সদস্য পদ পাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ নির্ধারিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি। গত রোববার জেলেনস্কি বলেন, সদস্য পদ দেওয়া হলে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হবে, ন্যাটো রাশিয়াকে ভয় পায় না। ন্যাটোর নিয়ম অনুযায়ী, নতুন সদস্য যুক্ত করতে হলে আগের সব সদস্য দেশের সম্মতির প্রয়োজন। এদিকে, সুইডেনকে ন্যাটোতে সমর্থন দেওয়ার আগে তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য করার শর্ত জুড়ে দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, ন্যাটোর প্রায় সব সদস্য দেশ ইইউর সদস্য হলেও ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইইউর দরজায় অপেক্ষা করছে তুরস্ক। ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, তুরস্কের সঙ্গে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও জোটে সুইডেনের সদস্য পদের জন্য সম্মতি পাওয়া সম্ভব। কারণ, স্টকহোম প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করেছে। আর বাইডেন রোববার এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে ‘যত দ্রুত সম্ভব’ সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্য হিসেবে দেখতে চান বলে জানান। এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সঙ্গে মস্কোতে পুতিন সাক্ষাৎ করেছেন গত ২৯ জুন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, বৈঠকে ওয়াগনার কমান্ডাররা পুতিনকে বলেন তারা যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই চালিয়ে যাবে। কিন্তু এর মাত্র ৫ দিন আগেই বিদ্রোহ করে মস্কোর দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেছিল ওয়াগনার। সূত্র : খবর সিএনএন ও আলজাজিরা।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(230 বার পঠিত)
(204 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]