নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
ব্যাংকাসুরেন্স অর্থাৎ ব্যাংকের মাধ্যমে বীমা করার পদ্ধতি যে কোনো সময় চালু করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বীমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএকে সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার এক সার্কুলারে এই সম্মতির কথা জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এ খবরে গতকাল বুধবার তালিকাভুক্ত প্রায় সব বীমা কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৫৭ বীমা কোম্পানির মধ্যে ৪৭টির দর বেড়েছে; মাত্র একটির দর কমেছে এবং অপরিবর্তিত বাকি ৯টির। দর অপরিবর্তিত কোম্পানির মধ্যে আটটি ফ্লোর প্রাইসে। তবে ব্যাংক খাতে এ খবরের এখনও প্রভাব নেই। তালিকাভুক্ত ৩৫ ব্যাংকের মধ্যে ২৮টি ফ্লোর প্রাইসে পড়ে আছে। গতকাল বীমা কোম্পানিগুলোর গড়ে প্রায় ২ শতাংশ হারে বাজারদর বেড়েছে। সর্বাধিক প্রায় ১০ শতাংশ দর বেড়ে ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স ছিল দরবৃদ্ধির শীর্ষে; সর্বশেষ কেনাবেচা হয় ৪৮ টাকা ৮০ পয়সায়। দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ তালিকার চতুর্থ, পঞ্চম এবং ১০ম অবস্থানে থাকা তিন বীমা কোম্পানি জনতা, কন্টিনেন্টাল এবং এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের দর সাড়ে ৭ থেকে প্রায় ৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
শুধু বাজারদরই নয়; খাতওয়ারি হিসেবে বীমা খাত ফের লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে। গতকাল এ খাতের কোম্পানিগুলোর মোট ১৬১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ বাজারে গতকাল ৮৭৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকের মাধ্যমে বীমা করার পদ্ধতি চালু হলে বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যবসা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এ কারণে বীমার শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে।
আইডিআরএর এক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, মঙ্গলবার ব্যাংকাসুরেন্স চালুর জন্য যে করপোরেট এজেন্ট (ব্যাংকাসুরেন্স) নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে, তা সার্কুলার আকারে জারি করতে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে। আবার করপোরেট এজেন্ট হিসেবে ব্যাংকগুলো যাতে কাজ করতে পারে, সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাবিত ব্যাংকাসুরেন্স গাইডলাইন বিষয়েও মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে। উভয় সংস্থা গাইডলাইন দুটি জারি করলে ব্যাংক এবং বীমা কোম্পানিগুলোর নিজেদের মধ্যে চুক্তি করে কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
জীবন বীমা কোম্পানির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, এটা হলে বিদ্যমান বীমা এজেন্টের মতো ব্যাংকও এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে। যেহেতু ব্যাংকগুলোর দেশব্যাপী বিশাল নেটওয়ার্ক আছে এবং তাদের বিশালসংখ্যক গ্রাহক আছে, ফলে তাদের মাধ্যমে বীমা পলিসি বৃদ্ধি পাবে। এতে ব্যাংক এবং বীমা কোম্পানি উভয়ের ব্যবসা বাড়বে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে এ কার্যক্রম শুরু হতে আরও ছয় মাস লাগতে পারে।
Posted ২:১৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin