শুক্রবার ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছিটমহল বিনিময়ের ৮ বছর পূর্তি আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট

বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়ের ৮ম বর্ষপূর্তি আজ (৩১ জুলাই)। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই ভারত ও বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় ৩১ জুলাই রাত ১২টা ১ মিনিটে ৬৮টি মোমবাতি জ্বালিয়ে দু’দেশের অভ্যন্তরে থাকা ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় করা হয়।

সে থেকে এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে দেশের সর্ববৃহৎ বিলুপ্ত ছিটমহল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ারছড়া বাসীসহ বাংলাদেশ অভ্যন্তরের ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলের মানুষরা নানা আয়োজনে ছিটমহল বিনিময় বর্ষপূর্তী পালন করে আসছেন।

সে ধারাবাহিকতায় সোমবার ৩১ জুলাই দিবাগত মধ্যরাতে ৬৮টি মোমবাতি প্রজ্বলন করে ছিটমহল বিনিময়ের ৮ম বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠানিকভাবে পালন করবে দাসিয়ার ছড়াবাসীসহ বাংলাদেশ অভ্যন্তরের ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলের মানুষ। এরমধ্যে সর্ববৃহৎ বিলুপ্ত ছিটমহল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ারছড়ার কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কামিটি ও দাসিয়ারছড়ার আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোাচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত ১২টা ১ মিনিটে ৬৮ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, কেক কাটার কর্মসূচি।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আলী। আমন্ত্রিত অতিথি কুড়িগ্রামের ডিসি মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, কুড়িগ্রাম এসপি আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ।

এছাড়াও অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত থাকবেন, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহম্মেদ মঞ্জু, কুড়িগ্রামের পিপি আইনজীবী আব্রাহাম লিংকনসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা। এতে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কামিটি দাসিয়ারছড়া ইউনিটের সভাপতি আলতাফ হোসেন।

জানা গেছে, দীর্ঘ ৬৮ বছর ধরে নিজ দেশে পরোবাসী হয়ে বন্দি জীবন-যাপন করে বাংলাদেশ ও ভারতের ১৬২ ছিটমহলের বাসিন্দারা। তারা বাংলাদেশ-ভারতের ছিটমহল নামের একটি ভূ-খন্ডে বসবাস করলেও কোনো দেশেরই সুবিধা পাননি। ছিটমহল নামের কারাগার থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করেন এসব মানুষ।

বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কামিটি দাসিয়ারছড়া ইউনিটের সভাপতি আলতাফ হোসেন জানান, আজ ৩১ জুলাই। ছিটমহল থেকে আমাদের মুক্তির ৮ম দিবস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ছিটমহল থেকে মুক্তি দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিক করেছেন। তার সুনজরে আমরা বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়াবাসী পেয়েছি ২৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তা, ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বাস্থ্যসেবার জন্য ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক, এমপিওভুক্ত ১টি দাখিল মাদরাসা ও ৩টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

এছাড়াও ৬টি সেতু, ব্রিজ-কালভার্ট, ধর্মীয় মসজিদ-মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতা ও বিধবা ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফসহ সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা, কম্পিউটার তথ্যভিত্তিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও একটি আইসিটি ভবনসহ অসংখ্য উন্নয়ন।

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এসব উন্নয়ন স্মরণে আমরা প্রতিবছর ৩১ জুলাই মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিটে ৬৮টি মোমবাতি প্রজ্বলন করে ছিটমহল বিনিময়ের ৮ম বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠানিকভাবে পালন করে আসছি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৭:১১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]