নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৬ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
রংপুরে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও বেড়েছে ভাঙন। এতে আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে নৌকায় পরিবার নিয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছেন হাজারো বানভাসী মানুষ। অনেকের নৌকায় ভেসেও দিন-রাত কাটছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতের গজলডোবা ব্যারেজ খুলে দেয়ায় মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নবাসীরা। গত দুদিন ধরে বৃষ্টি না থাকলেও শুধু উজানের ঢলেই জেলার মুসার চর ও বালাডোর চরে নতুন বসতগড়া প্রায় ৪০টি বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে; ভেঙেছে রাস্তাঘাট। একমাত্র চলাচলের রাস্তা ও আবাদি জমিও নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।
স্থানীয় হিলেম, মাসুদ, মশিউর ও কালাম জানান, জিও ব্যাগ ফেললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম হওয়ায় কোনো কাজেই আসছে না। দ্রুত কার্যকারী পদক্ষেপ না নিলে শত শত বাড়ি-ঘর, মসজিদ, কবরস্থানসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তিস্তায় বিলীন হওয়ার শঙ্কায় করছেন তারা।
রংপুরের কাউনিয়ায় ভাঙন আতঙ্কে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। ছবি: সময় সংবাদ
কাউনিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার মহিদুল হক ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, নদীগর্ভে বিলীনে ভূমিহীন ক্ষতিগ্রস্তদের ১০ থেকে ৩০ কেজি চাল দেয়া হবে। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওতাধীন বাড়িঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, বরাদ্দের সীমাবদ্ধতার ক্ষেত্রে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা ছাড়া জিও ব্যাগ ফেলা সম্ভব নয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, রংপুরের কাউনিয়ার পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমাড় নদীর পানি কমতে পারে।
Posted ৪:৪১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৬ আগস্ট ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin