শেখ সোহেল রানা : | বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন ( বিআরটিসি )লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির বর্তমান চৌকস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো: তাজুল ইসলাম। তিনি চেয়ারম্যান পদে যোগদানের পর থেকে শত প্রতিকুল পরিবেশ থাকা অবস্থায় নানাবিধ চ্যালেন্জ্ঞ মোকাবিলা করে নিজের প্রচেষ্টায়
অক্লান্ত পরিশ্রম, সততা, সাহসী ভূমিকা ও আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মেধা খাটিয়ে জরাজীর্ন ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে সার্বিকভাবে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত করে “ আয় বৃদ্ধি , ব্যয় সংকোচন ও যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন “ স্লোগানকে সামনে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিনত করার লক্ষ্যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন ।
২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন মো: তাজুল ইসলাম। এরপর নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সততা, প্রজ্ঞা মেধা, সময়য়োপযোগী ও সুদক্ষ দিক-নির্দেশনা এবং সঠিক নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছেন।
বিআরটিসিতে চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানে পর অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেন সরকারের এই অতিরিক্ত সচিব। এর মধ্যে রয়েছে—স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ, চালক কারিগরদের প্রশিক্ষণ, শান্তি বিনোদন ছুটি, সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ ইত্যাদি।
বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের সময়োপযোগী ও সুক্ষ্ম দিক-নির্দেশনা এবং সঠিক নেতৃত্বে বিআরটিসি’র বেশ কিছু প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
গাবতলী বস ডিপো ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ব্যাবস্থাপক ( অপারেশন ) মো: জামিল হোসেন ঢাকা প্রতিদিন কে দেওয়া তথ্যমতে , চেয়ারম্যানের যোগদানের পূর্বের গাবতলী বাস ডিপো ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের অবস্থা এবং বর্তমান অবস্থা দেখলেই বোঝা যাবে………
বিআরটিসি গাবতলী বাস ডিপোর ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের বর্তমানে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিজস্ব আয় হতে প্রতিমাসের ০১ তারিখে পরিশোধ করা হচ্ছে। ডিপোর অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পাওনা টাকার জন্য ৫-৬ বছর পর্যন্ত প্রধান কার্যালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরতে হতো। বর্তমান চেয়ারম্যানে নির্দেশনায় অবসর প্রাপ্তদের বিআরটিসি’র নিজস্ব আয় হতে টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে। ৩ মাস অন্তর অন্তর গ্র্যাচুইটি সিপিএফ ও ছুটি নগদায়নের টাকা অনলাইনে পরিশোধ করা হচ্ছে যা আজ ঘরে বসেই বিনা-হয়রানিতে পাচ্ছেন। বর্তমান সময়ে চেয়ারম্যান মহোদয়ের বিআরটিসি’তে আরো একটি উল্লেখযোগ্য অবদান হলো প্রত্যেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দীর্ঘ্ ১৮ বছর পর শান্তি বিনোদন ভাতা চালু করা হয় এবং ছুটির অনুমোদন প্রদান। যা ইতিপূর্বে কোন চেয়ারম্যানের আমলে সম্ভব হয়নি।
বিআরটিসি গাবতলী বাস ডিপোর ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের এই প্রথম কল্যাণ তহবিল নীতিমালা প্রণয়ন করা হয় এবং ডিপোর অসুস্থ্য কমকতা কমচারীদের মাঝে চিকিৎসার জন্য অনুদান প্রদান করা হয়। তার মধ্যে একজন কমকতাকে চিকিৎসার জন্য তিন লক্ষ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। যা পুর্বে কেহ পাইনি।
বিআরটিসি গাবতলী বাস ডিপোর ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন বকেয়া ছিল ৬’ফেব্রুয়ারী ২০২১ সাল পযন্ত ১,১২,৫৯,১৯০/- (এক কোটি বারো লক্ষ উনষাট হাজার একশত) টাকা ।বর্তমান চেয়াম্যান স্যারের আমলে অনেকাংশ পরিশোধ করা হয়েছে বাকী টাকা পরিশোধে চলামান আছে ।
বিআরটিসি গাবতলী বাস ডিপোর ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের অধিকাংশ গাড়ী পূর্বে ভারী মেরামতের অপেক্ষায় বসে থাকতো। বর্তমান চেয়ারম্যানের কঠোর নির্দেশনায় এবং দক্ষ নের্তৃত্বে বর্তমান ১০টি অশোক লিল্যান্ড দ্বিতল, চায়না সিএনজি ০৮টি টাটা , ০৬ টি অশোক লিল্যান্ড এসি বাস সহ মোট ২৪ চি বাসে দ্রুত ভারী মেরামত কাজ সম্পন্ন করে অনরুট করা হয়। যার ফলে প্রতিদিন রাজস্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিআরটিসি গাবতলী বাস ডিপোর ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের পূর্বে ডিজিটাল গেইট ছিল না, বর্তমান চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় বাস ডিপোর মেইন গেইট ডিজিটাল করা হয়েছে।
বিআরটিসি গাবতলী বাস ডিপোর ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রে দৃষ্টিনন্দন নতুন একতলা প্রশাসনিক ভবন , ট্রাফিক অফিস নির্মানসহ জরাজির্ণ অফিস কক্ষ মেরামত, আধুনিক বাথরুম নির্মাণ, অফিসের বিভিন্ন স্থাপনা দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। প্রশিক্ষনার্থাদের জন্য সম্মেলন কক্ষ , শ্রেনীকক্ষ এসি সহ আধুনিকায়ন করা হয়েছে। প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ইয়ার্ড নির্মান এবং ২ টি প্রশিক্ষন কার ক্রয় করা হয়েছে ।যা পূর্বে ছিল না।
বিআরটিসি গাবতলী বাস ডিপোর ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের গাড়ীগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে ৫৪ ফুট লম্বা এবং ১০ ফুট চওড়া র্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে।
বিআরটিসি গাবতলী বাস ডিপোর ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের স্থাপনার সার্ভিক নিরাপত্তা রাখার স্বার্থে ২৫ টি সিসি ক্যামেরা ও ৪৩” মনিটর সংযুক্ত করা হয়েছে। ডিপোর পূর্বপাশ ৩৮৬ ফুট এবং দক্ষিনপাশ ২৭০ ফুট সীমানা প্রাচীর নির্মান করা হয়েছে ।যাহা পূর্বে ছিল না।
প্রধান ফটকের অভ্যন্তরে পশ্চিম পাশে ৮৮ ফুট দৈর্ঘ ৮৫ ফুট প্রস্থ এবং ৬ ফুট উচ্চতা আকারে বালু ভরাট করা হয়েছে । যা পূর্বে ছিলো না ।
বিআরটিসি গাবতলী বাস ডিপো ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের কর্মচারীদের জন্য ইউনিফর্ম ছিলো না, বর্তমানে প্রত্যেক কর্মচারীদের জন্য ইউনিফর্ম প্রদান করা হয়েছে। কারিগরি কাজের টুলস, সেফটি হেলমেট ও জুতা, হ্যান্ড গ্ল্যাবস প্রদান করা হয়।বাসগুলো পরিষ্কার করা জন্য সার্ভিসিং পাইপ ও ক্লিনারদের গামবুট জুতা প্রদান করা হয়। ৬০ ফুট দৈর্ঘ ৪০ ফুট প্রস্থ এবং ২০ ফুট উচ্চতা আকারে একটি নতুন ওয়ার্কিং শেড নির্মান করা হয়েছে এতে ডিপোর কর্মচারীদের কমস্পৃহা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গাবতলী বাস ডিপো ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত কম্পিউটার ছিল না, বর্তমান চেয়ারম্যান নির্দেশনায় ডিপোতে ল্যাপটপ ও প্রত্যেক শাখায় ব্যবহারের জন্য ডেক্সটপ কম্পিউটার ক্রয় করা হয়েছে। সকল শাখ প্রধানদের সাথে যোগাযোগ সহজ করা ও কাজের অগ্রগতির জন্য ইন্টারকম টেলিফোনিক সিস্টেম চালু করা হয়েছে। বাস ডিপোর নামে নিজস্ব ওয়েব সাইট, ফেসবুল আইডি খোলা হয়েছে।যেখান থেকে ডিপোর আপডেট তথ্য প্রকাশ করা হয় এবং সেবা গ্রহিতারা বিআরটিসি সেবা সহজে গ্রহন করতে পারছেন।প্রতিটা গাড়ীতে ভিটিএস সফটওয়্যার সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। দুরপাল্লার সার্ভিসে নিয়োজিতিত এসি বাসে ওয়াইফাই সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।কমকর্তাদের কমচারীদের হাজিরা নিশ্চিত কল্পে ফিঙ্গার মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।ফ্লিট ম্যানেজম্টে সফটওয়্যার চালু সহ বাস ডিপোর সকল কাযক্রম মনিটরিং করা হয় যা পূর্বে ছিল না।
বিআরটিসি গাবতলী বাস ডিপো ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ইয়ার্ডে বৃষ্টির পানি জমে থাকতো। গাড়ী রাখার কোন ব্যবস্থা ছিল না, বর্তমানে ডিপো’র ইয়ার্ড ইটের সলিং করাসহ সংস্কার করা হয়েছে। সড়ক দূরঘটনারোধ করার লক্ষ্যে চেয়ারম্যান মহোদয়েরর নির্দেশনায় প্রত্যক মাসের ডিপোর চালক ও কারিগরদের সচেতনতা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। যার ফলে পূর্বের তুলনায় সড়ক দূরঘটনা অনেকাংশে কমে গেছে।
চেয়ারম্যান স্যারের নির্দেশে বিআরটিসি গাবতলী বাস ডিপো ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র নাগরিকদের যাতায়াত সুবিধার জন্য বিনা লাভে নগর সার্ভিস প্রদান করে যাচ্ছে ।
বিআরটিসি গাবতলী বাস ডিপো ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ নাম কক্ষ নির্মান করা হয়। যেখানে মঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভিন্ন বই সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং শেখ রাসেলের ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে । পূর্বে কোন চেয়ারম্যানের আমলে করা সম্ভব হয়নি ।
Posted ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin