বাগেরহাটের রামপালে আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তীব্র লবণাক্ততার মধ্যে আগাম বৃষ্টি হওয়ায় বীজতলা থেকে চারা তুলে মাঠে রোপণ করছেন তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে আশাতীত ফলন হবে বলেও আশা করছেন তারা।

রামপাল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এ উপজেলায় ৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। গত বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় এবং জমিতে লবনের মাত্রা বেশি থাকায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। ওই বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর। কিন্তু রোপণ হয়েছিল ৭ হাজার ৮৩৮ হেক্টর।

চলতি আমন রোপণে খরিপ -২ এর ২০২৩-২৪ সালের ব্লকওয়ারী রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে গৌরম্ভা ইউনিয়নে হাইব্রিড ৬০ হেক্টর, উফশী ৩৬০ ও স্থানীয় জাতের ৯০ হেক্টরসহ মোট আবাদ হচ্ছে ৫১০ হেক্টর। উজলকুড় ইউনিয়নে হাইব্রিড ৫০, উফশী ৩০০ ও স্থানীয়সহ মোট ৪৪০ হেক্টর। বাইনতলায় হাইব্রিড ১১০, উফশী ৬৬০ ও স্থানীয় ১৪০ সহ মোট ৯১০ হেক্টর।

রামপাল সদরে হাইব্রিড ৮০, উফশী ৪৮০ ও স্থানীয় ১৪০ সহ মোট ৭০০ হেক্টর। রাজনগরে হাইব্রিড ৫০, উফশী ৩০০ ও স্থানীয় ৮০ সহ মোট ৪৩০ হেক্টর। হুড়কায় হাইব্রিড ৯০, উফশী ৫৪০ ও স্থানীয় ১৪০ সহ মোট ৭৭০ হেক্টর। পেড়িখালীতে হাইব্রিড ৯০, উফশী ৫৪০ ও স্থানীয় ১৫০ সহ মোট ৭৮০ হেক্টর। ভোজপাতিয়ায় হাইব্রিড ৪০, উফশী ২৪০ ও স্থানীয় ৭০ সহ মোট ৩৫০ হেক্টর। মল্লিকেরবেড়ে হাইব্রিড ৩৭০, উফশী ২ হাজার ২২০, স্থানীয় ৪১০ সহ মোট ৩ হাজার হেক্টর। বাশতলীতে হাইব্রিড ৬০, উফশী ৩৬০ ও স্থানীয় ৯০ সহ মোট ৫১০ হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে।

উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে হাইব্রিড ১ হাজার, উফশী ৬ হাজার ও স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৪০০ হেক্টরসহ মোট ৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিরও বেশি আমন আবাদের আওতায় আসবে বলে আশা করছেন কৃষিবিদরা।

রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওয়ালিউল ইসলাম জানান, আরো বৃষ্টি হলে ও আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আশানুরূপ ফলন মিলবে। কৃষকদের সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ, পাওয়ার টিলার, রোপণ যন্ত্র, বীজ সারসহ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।