এইচ এম শহিদুল ইসলাম : | বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রের সদর ইউনিয়নের তৈলিয়া কাটা গ্রামের বিগত ২০ বছর ধরে ৩০০টি পরিবারের চলাচলের জন্য রাস্তা থাকলেও কাঁদা মাটির সীমাহীন দূর্ভোগে শিকার হচ্ছে ৭ শতাধিকের বেশি মানুষ। জনপ্রতিধি যায় আর আসে, কিন্তু সদরের ০৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম তৈলিয়াকাটা- খাল পার নিচের যাতায়াতের জন্য কোন রাস্তা কেউ করেনি। এছাড়াও বিগত সময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ওই ৩০০পরিবারকে রাস্তা করে দেওয়ার ওয়াদা দিলেও অদ্যবধি কোন কাজ হয়নি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া ইউনিয়নের তৈলিয়াকাটা মাহামদ আলীর বাড়ি হতে নুরু ছফা বাড়ি পযন্ত) কোন রাস্তা বা সড়ক নাই। যার দুরত্ব মাত্র ১ কিঃমি,বা ৩৮চেইন। রাস্তার অভাবে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ওই গ্রামের ৩০০পরিবারের মানুষকে কাঁদার মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সবচেয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে মুসলিরা, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে কস্টের সীমা থাকেনা। স্থানীয় বাসিন্দা আওয়ামী নেতা-সাবেক ইউপি সচিব আলহাজ্ব জাফর আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রাম হবে শহরে রুপান্তর এর উল্টো উন্নয়ন আমাদের এলাকায়। কত মেম্বার-চেয়ারম্যান আসে আর যায়, কিন্তু আমাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাগবে কেউ এগিয়ে আসেনা। অনেকেই কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তিনি তৈলিয়াকাটা ৩০০ পরিবারের যাতায়াতের জন্য একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তিনি আরো বলেন, বিগত ৫/৬ বছর ধরে স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যানসহ বিভিন্ন দফতরে রাস্তা নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য বরাদ্দ চেয়ে একাধিকবার লিখিতভাবে আবেদন করলেও কোন কাজের কাজ হয়নি। ৭ নং ওয়ার্ডের তৈলিয়াকাটা গ্রামের প্রবীণ মুরুব্বি মাস্টার আবদু জব্বার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান (৭০), তরুণ শিক্ষাথী (২৩) ও শাহাব উদ্দিন জানান, বিগত ২০ বছর ধরে আমাদের ৩০০টি পরিবারের যাতায়াতের জন্য কোন রাস্তা নাই। বর্ষা মৌসুমে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের ফোরকানিয়া/মতল্বে পাঠাতে ভয় হয়, যেন কোন দুর্ঘটনায় আঘাত হয় কি না। বর্ষা মৌসুমে নামাজ পড়তে মসজিদে যেতে অনেক কস্টের। এই বার হলেও যদি জনপ্রতিনিধিরা আমাদের দিকে একটু থাকায় সেই আশায় রইলাম। স্হায়ী ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি মো: নাছির উদ্দীন জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। ওই গ্রামের ৩০০টি পরিবারের যাতায়াত সমস্যা নিরসনে তিনি রাস্তা নির্মাণের জন্য অবশ্যই উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
Posted ৩:৪৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin