শনিবার ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলুর মূল্যবৃদ্ধিতে হিমাগার মালিকরা দায়ী নন

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট

আলুর মূল্যবৃদ্ধিতে হিমাগার মালিকরা দায়ী নন

হিমাগারে যে পরিমাণ খাবারের আলু সংরক্ষণ করা হয় তার ৫৫ শতাংশের মালিক ব্যবসায়ী এবং কৃষক। মাত্র ১ শতাংশ আলু হিমাগার মালিকদের। তাই ১ শতাংশের অংশীদাররা কোনোভাবেই দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রভাব রাখতে পারে না।

গতকাল রোববার ঢাকার পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন সংগঠনটির সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

মোস্তফা আজাদ বলেন, হিমাগারে সংরক্ষিত আলুর ৪০ শতাংশ বীজ, ৫৫ শতাংশ খাবারের এবং ৪ শতাংশ আলু শিল্পে ব্যবহারের জন্য। খাবারের আলুর মাত্র ১ শতাংশ হিমাগারের মালিকদের। ৫৫ শতাংশই মজুতদার ব্যবসায়ী ও কৃষকদের। অতএব দাম বাড়ানোর বিষয়টি তারা বলতে পারবেন।

বিগত বছরে আলুতে লোকসান হওয়ায় কৃষকরা অন্য ফসল উৎপাদনে মনোনিবেশ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন,  চলতি বছর ২৩ লাখ ১২ হাজার টন আলু হিমাগারে রাখা হয়েছে। গত বছর ছিল প্রায় ২৪ লাখ ২০ হাজার। সে হিসাবে, গত বছরের তুলনায় প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার টন আলু কম এসেছে হিমাগারে। সে জন্য হিমাগারের ২০ শতাংশ জায়গা খালি রয়েছে।

আলু উৎপাদনের সরকারি তথ্য সঠিক নয় বলে মনে করেন বিসিএসএর সভাপতি। তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮৫ লাখ টনের বেশি উৎপাদন হয়নি। অথচ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, ১ কোটি ১২ লাখ টন হয়েছে। দেশে আলুর চাহিদা ৯০ লাখ টন। তাহলে এ বছর ২২ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকার কথা। সংকট তো হওয়ার কথা নয়। বর্তমানে দেশের ১৫০টি হিমাগারে ৮ লাখ ৬৬ হাজার টন (১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) আলু মজুত রয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৬২ হাজার টন কম।

মোস্তফা আজাদ বলেন, গত ২০ মে থেকে যখন আলু খালাস হওয়া শুরু হয় তখন হিমাগার ফটকে দাম ছিল প্রতিকেজি ২৬-২৭ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৪-৩৬ টাকায়, যা অস্বাভাবিক। সাম্প্রতিক সময়ে আলুর দাম বৃদ্ধিতে মজুতদার ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সমিতিভুক্ত নয়– এমন অসাধু কিছু হিমাগার মালিকেরও দায় আছে।

তিনি বলেন, যে বছর উৎপাদন কম হবে সে বছর সরকার কৃষকদের থেকে আলু কিনে বিভিন্ন জেলায় হিমাগারে রেখে সংকটের সময় ক্রয় মূল্যে বিক্রি করতে পারে। এতে দাম স্থিতিশীল থাকবে। আবার উৎপাদন বেশি হলে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় উদ্বৃত্ত আলু ত্রাণ, কাবিখা, ওএমএস, ভিজিডি, জেলাখানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের মধ্যে বিতরণ করা যেতে পারে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:০৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]