নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরও বড়াল, মুসা খাঁ নদী ও নারদ নদ খননের অনুমতি দেয়নি মন্ত্রণালয়। উল্টো দফায় দফায় কমানো হচ্ছে বরাদ্দ। দুই দফায় নতুন করে ডিপিপি করা হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলায় আটকে আছে। এরফলে নদী ৩টি রক্ষার কাজ যাচ্ছে পিছিয়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মা নদীর মুখে বড়াল নদীর মুখ আটকে যাওয়াতে নাটোরের অন্যতম বড়াল নদী, মুসা খা নদী ও নারদ নদ মৃত প্রায়। ৩টি নদ ও নদীর পানিপ্রবাহ না থাকায় দখল দূষণে পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর নদীতে পানি না থাকায় নদীর পারের কৃষি জমিতে বাড়ছে সেচ খরচ।
নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, এই ৩টি নদ-নদী পূর্বের অবস্থায় ফেরাতে ২০২০ সালে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) পানি উন্নয়ন বোর্ড অধিদফতরে পাঠায় নাটোরের পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস। ডিপিপিতে প্রায় দুই হাজার ২০০ কোটি টাকার বাজেট দেয়া হয়। তিন বছরেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিপিপি আলোর মুখ না দেখায় চলতি বছরের শুরুর দিকে জেলা প্রশাসন থেকে নদীগুলো সংস্কারের জন্য মন্ত্রিপরিষদে আবেদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী আবেদনটি অনুমোদন করে ডিপিপি প্রদানের নির্দেশ দেন।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রথম দফার ডিপিপির খরচ কমিয়ে নতুন করে ডিপিপি করার নির্দেশনা দেয় অধিদফতর। প্রথম ডিপির মধ্যে থাকা ৪৯টি ব্রিজ নতুন করে করার সুপারিশ থাকলেও চলতি বছরের জুনে পাঠানো দ্বিতীয় ডিপিপিতে ২৬টি ব্রিজ ভেঙে নতুন করে প্রস্তাব দেয়া হয়। দ্বিতীয় ডিপিতে প্রায় এক হাজার ১৫০ কোটি টাকার বাজেট দেয়া হয়। পরে বাজেট কমিয়ে নতুন করে ডিপিপি প্রণয়নের জন্য নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। আর চলতি বছরের আগস্টে ৫৭০ কোটি টাকার প্রস্তাবনা দিয়ে তৃতীয় দফায় ডিপিপি প্রেরণ করে নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, তৃতীয় দফায় পাঠানো ডিপিপিতে এলজিইডি ও সড়ক বিভাগের ২৬টি ব্রিজ অপসারণ করে নদীর মাপে নতুন করে করার জন্য এই ২ দফতরকে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে ২৬টি ব্রিজ অপসারণ না হলে এই নদী খননের সুফল নাটোরবাসী পাবেন না বলে জানান তিনি।
বড়াল রক্ষা কমিটির সদস্য শামীমা লাইজু নীলা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও ডিপিপি অনুমোদন করেনি মন্ত্রণালয়। আর দ্রুত এই ৩টি নদ-নদী খনন শুরু না হলে আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
শামীমা লাইজু নীলা বলেন, এই তিনটি নদ-নদী জেলার ৪টি উপজেলার কৃষি ও পরিবেশের সাথে জড়িত। তাই এই নদ-নদী রক্ষার বিকল্প নেই।
নাটোর শহরবাসীর জন্য নারদ নদের ২০ কিলোমিটারের ওয়াকওয়ে নির্মাণের দ্বিতীয় ডিপিপিতে প্রস্তাবনা থাকলেও তৃতীয় ডিপিপিতে এই প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে।
Posted ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin