নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু উপদ্রুত মানুষের সংখ্যা বেশি বেড়েছে। জলাবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কাজ হারিয়েছেন অনেক মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতেও বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও এসব কারণে কিছুটা কম হয়েছে। জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত এ অভিঘাত লাঘবে সহায়ক হতে পারে সবুজ প্রযুক্তি। প্রায় একই রকম পরিস্থিতিতে অন্যান্য অঞ্চলে সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়াকেও সবুজ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।গতকাল সোমবার দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত সবুজ উন্নয়নবিষয়ক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন অধিবেশনে এসব কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীর গুলশানে হোটেল রেনেসাঁয় বিশ্বব্যাংক ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নানা পরিকল্পনা ও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। প্রকৃতিকে বাঁচাতে সরকারের আগ্রহ এবং প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই। ডেলটা প্ল্যান, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনাসহ সরকারের সব উন্নয়ন পরিকল্পনায় জলবায়ুর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবেশ সংরক্ষণে বিভিন্ন প্রকল্প আছে সরকারের। জলবায়ু রক্ষার জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে ধীরে ধীরে সৌর বিদ্যুৎসহ পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে মনোযোগ বাড়ানো হচ্ছে। এখানে এখন বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন।
আলোচনায় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি ঠেকাতে বাংলাদেশকে অবশ্যই জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। সবুজ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তুলতে এবং উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হতে পারে।
বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন বলেন, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় সবুজ প্রবৃদ্ধির এই এজেন্ডাকে কেন্দ্র করে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবুজ প্রবৃদ্ধি এজেন্ডা বাস্তবয়নে অর্থেরও প্রয়োজন রয়েছে।
Posted ১২:২৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin