নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, শ্রমিক আন্দোলন পুঁজি করে কোনো ধরনের নাশকতা-সহিংসতার মাধ্যমে পোশাকশিল্পের ক্ষতি করার চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কার্যালয়ে পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা রোধে পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শন, র্যাবের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
খন্দকার মঈন বলেন, আশির দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশে পোশাকশিল্পের যাত্রা শুরু হয়। এখন বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। আর বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের অধিকাংশ উপার্জন পোশাকশিল্প থেকে আসছে। এই শিল্পকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল বা দুষ্কৃতিকারীরা উঠে পড়ে লেগেছে। গত ২৮ অক্টোবর থেকে আমাদের দেশের শান্তিপ্রিয় পোশাক শ্রমিকরা তাদের বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। বিষয়টি সরকারের দফতর, বেসরকারি সংস্থা, মালিকদের সংগঠন সবাই আমলে নিয়ে মঞ্জুরি কমিটি গঠন করে একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
মিডিয়া উইংয়ের এই পরিচালক বলেন, কিন্তু দেখতে পাচ্ছি একটি মহল শ্রমিকদের ভুল তথ্য ও গুজবের মাধ্যমে বা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য উসকানিমূলক তথ্য দিয়ে অরাজকতা, সহিংসতা বা নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। গত ৩১ অক্টোবর জোসনা নামে এক পোশাক শ্রমিককে মিরপুর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ গুম করেছে এমন একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে এক নভেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিরপুরে অনেক সহিংসতা ও নাশকতা হয়৷ র্যাব-৪ এর একটি আভিধানিক দল ১ নভেম্বর জোসনাকে খুঁজে বের করে। দেখা যায়, জোসনা বাসায় তার পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন।
তিনি বলেন, যারা এই শান্তিপ্রিয় শ্রমিক ভাইদের নিয়ে নাশকতা, সহিংসতার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা ও সহিংসতা করছে। তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। র্যাব ফোর্সেস এই চলমান সহিংসতা প্রতিরোধে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এ সময় র্যাবের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin