নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
উপকূলে নেমেছে শীত। গত কয়েকদিন ধরে বরগুনার আবহাওয়ায় এমনই পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। দিনের বেলায় কিছুটা গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যা পর পর কুয়াশা জড়িয়ে ধরছে প্রকৃতিকে। আর তাই পুরোপুরি শীত নামার আগেই স্থানীয়দের শীত নিবারনের কথা ভেবে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশক তৈরির কারিগররা।
শীতের আগমনকে কেন্দ্র করে দোকানগুলোতে লেপ-তোশক বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ লেপ-তোশক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে উপকূলের বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তা ঘাটে।
হিমেল শীতের পরশ থেকে উষ্ণতা পেতে কেউ পুরোনো লেপ-তোশক, বালিশ ঠিকঠাক করছে। আবার কেউ নতুন তৈরি করার অর্ডার দিচ্ছেন। অন্যদিকে, অনেকে উঠিয়ে রাখা লেপ-তোশক বের করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করার চেষ্টা করছেন।
বর্তমানে বাজারে শিমুল তুলা কেজিপ্রতি ৪৬০-৬২০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৩১০-৩৬০ টাকা, কেজিপ্রতি কালো হুল ৮৫-৯০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ৫০-৬০ টাকা, সাদা তুলা ১১০-১৩০ টাকা করে দামে বিক্রি হচ্ছে।
কারিগররা সাদা, গোলাপি, হলুদ, চায়না, শিমুল, কার্পাস ও পলিউল তুলা দিয়ে লেপ আর কালো হুল ও কালো রাবিশ তুলা দিয়ে জাজিম তৈরি করে বিক্রি করছেন। একইসঙ্গে লেপ-তোশকের বিকল্প হিসেবে ক্রেতাদের আধুনিক ম্যাট্রেস-কম্বলের দিকে আগ্রহ বেড়েছে।
লেপ-তোশক তৈরির কারিগর মাসুম বিল্লাহ্, আলী ও জহিরুল ইসলাম বলেন, সারা বছর বেশি কাজ করতে পারি না। অর্ডার কম থাকে। বসেই সময় কাটাতে হয়। তবে এবার শীতের আগেই কাজ শুরু হয়েছে। ক্রেতারা লেপ-তোশক বানাতে শুরু করেছে। আমরা একটু ব্যস্ত সময় পার করছি। লেপ-তোশকের চাহিদা শীতেই বেশি। ক্রেতাদের এ আনাগোনা চলবে পুরো শীতজুড়ে।
ক্রেতা মাজেদা বেগম বলেন, গত এক সপ্তাহ থেকে শীত অনুভূত হওয়ায় লেপ কিনতে এসেছি।
সততা বেডিং হাউসের বিক্রেতা কাইউম বলেন, শীত পড়া শুরু করেছে ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়ছে। ভালো তুলা দিয়ে একটা লেপ তৈরি করতে হলে দুই হাজার টাকার মতো লেগে যায় ও তোশকে ২৫০০ টাকার মত।
Posted ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin