নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
‘স্মার্ট ঢাকা-১৮’ গড়ার প্রত্যয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে প্রার্থী হয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক, নিপা গ্রুপ ও কেসি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. খসরু চৌধুরী সিআইপি।
মো. খসরু চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, তিনি চান এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর বুকে একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে ঢাকা-১৮ আসনকে স্মার্ট আসনকে গড়ে তুলতে। যেখানে থাকবে উন্নত রাস্তাঘাট, সুন্দর অবকাঠামো, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নিরাপদ যোগাযোগ ও গণপরিবহনের ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে থাকবে খেলার মাঠ ও বিনোদনের ব্যবস্থা, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে থাকবে শহীদ মিনার, স্থায়ী কাঁচা বাজার, ঈদগাহ, কবরস্থান ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। মুসলমানদের জন্য মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মালম্বীদের জন্য থাকবে উপাসনালয়। মশক, দূষণমুক্ত ও সবুজায়নের নগরী। প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। প্রতিটি বড় বাজার এলাকায় বিনামূল্যে ইন্টারনেট হটস্পট থাকবে যাতে বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের উন্নতির জন্য প্রযুক্তির সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করতে পারেন। সড়কবাতি, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সড়ক উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, মাদক নির্মূল, বিনোদনকেন্দ্র স্থাপন, পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিত আবাসন এবং প্রতিহিংসামুক্ত ঢাকা-১৮ আসন গড়তে চান মো. খসরু চৌধুরী।
ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষ প্রতিনিয়ত জলাবদ্ধতা ও ড্রেনেজ সমস্যায় ভুগছে। দক্ষিণখান-উত্তরখান ও খিলক্ষেতসহ প্রায় প্রতিটি সড়কের বেহাল দশা। চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি সড়ক। প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে অনেক স্থানের সড়ক খানাখন্দে ভরা। এতে প্রতিনিয়ত চালকদের ভোগান্তিসহ বাড়ছে দুর্ঘটনাও। এর ওপর অতিবৃষ্টি, বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। জরুরি ভিত্তিতে এসব সড়ক মেরামত ও সংস্কার করা প্রয়োজন। মো. খসরু চৌধুরী যদি এমপি নির্বাচিত হন তাহলে সিটি করপোরেশনের সাথে সমন্বয়পূর্বক স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করবেন।
মো. খসরু চৌধুরী চান ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিটি শিশু মানসম্মত শিক্ষা পাবে। বিশেষ মনিটরিং টুলস থাকবে যাতে স্কুলগুলো সর্বোত্তম কার্য সম্পাদনের জন্য দায়বদ্ধ থাকে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়ার জন্য বিনামূল্যে পরামর্শ সেবা দেওয়া হবে। প্রতিটি মসজিদে শিশুদের মৌলিক ইসলামি শিক্ষা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ১০টি কেন্দ্র (মসজিদ) থাকবে যেখানে এই সুবিধাটি প্রদান করা হবে।
একটি উপযুক্ত স্থানে একটি কারিগরি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে যেখানে যুবকরা কারিগরি প্রশিক্ষণ পাবে। শুধু তাই নয়, দেশে-বিদেশে তাদের কর্মসংস্থানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হবে। ঢাকা-১৮ এর সকল জনগণ অর্ধবার্ষিক বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্পেইন উপভোগ করবেন যেখানে এক্স-রে, চক্ষু, নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ সহ মৌলিক ওষুধ সুবিধাসহ অভিজ্ঞ ডাক্তার উপস্থিত থাকবেন। ঢাকা-১৮ এর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভালো, মেধাবী কিন্তু দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পূর্ণ উপবৃত্তি প্রদান করা হবে।
প্রতিটি বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। যেসব এলাকায় প্রাথমিকভাবে গ্যাসের আওতাভুক্ত করা হবে না সেসব এলাকায় এলপিজি পয়েন্ট থাকবে। যেখানে সম্ভাব্য সর্বনিম্ন বাজারদর থাকবে। তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও গাইড করার জন্য একটি অত্যাধুনিক যুব উদ্যোক্তা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। কেন্দ্র যুবকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলবে। তারা পরে নিজেদের মতো করে ব্যবসা শুরু করবে। এমনকি স্টার্টআপের জন্য সীমিত আকারে তহবিল থাকবে।
ঢাকা-১৮ হবে মাদকমুক্ত। সন্ত্রাসের ভয় ছাড়াই মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে। এই আসন জনগণ দ্বারা পরিচালিত হবে। যেখানে কোনো মাদক কারবারী, ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না। রাজনৈতিক পরিচয়ে কেউ চাঁদাবাজি করতে পারবে না। অটোর স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি কোন চাঁদাবাজি চলবে না। ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া তোলায় জড়িতদের দমন করা হবে। চাঁদাবাজ ও মাদক মুক্ত ঢাকা-১৮ আসন গড়ার অঙ্গীকার নিয়েই মাঠে নেমেছেন মো. খসরু চৌধুরী সিআইপি।
Posted ৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin