নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
টাকার বিপরীতে ডলারের দর পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটলে এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকলে ভালো থাকবে না অর্থনীতির প্রকৃত খাত (কৃষি-শিল্প-সেবা)। দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল ছিল, যা এখন নেই। এ কারণে জিনিসপত্রের দাম, বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ, ঋণ পরিশোধ, রপ্তানি বাণিজ্যসহ যেসব বিষয়ে চ্যালেঞ্জ, অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা রয়েছে– তা আমলে নিতে হবে। কোনোভাবেই সরকারকে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে হবে না। এখন যেসব বিষয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা আমলে নিয়ে দক্ষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। আর নির্বাচনের পর যেতে হবে বড় ধরনের সংস্কারে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে বাংলাদেশ উন্নয়ন অধ্যয়ন প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম দিনের একটি অধিবেশনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর এমনই মতামত তুলে ধরেন। ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং বাংলাদেশের নীতি-বিকল্প’ শিরোনামে জনবক্তৃতা দেন আহসান মনসুর।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অর্থনীতিতে এখন রয়েছে চ্যালেঞ্জ; আছে অনিশ্চয়তা। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার শঙ্কাই এখন বড় শঙ্কা। নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে রপ্তানি খাতের কী হবে– সেটাই বড় প্রশ্ন। অর্থনীতির সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকরা এখন একাকার। তাদের মধ্যে পার্থক্য নেই। নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ীরা এভাবে মিশে গেলে সংস্কার সম্ভব হবে না।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের হাতে ব্যাংক, পত্রিকা, টেলিভিশন। তারা নীতিনির্ধারণে প্রভাব ফেলছে। ব্যাংকে একই পরিবার থেকে পরিচালক সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
Posted ১২:৫২ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin