নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
হঠাৎ করে লেনদেন বেড়েছে ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইতে। বুধবার দেশের প্রধান এই শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে প্রায় ৭৭০ কোটি টাকা, যা গত ২০ সেপ্টেম্বর বা ১২ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আগের দিন মঙ্গলবারের তুলনায় ১৬৮ কোটি টাকা বা ২৮ শতাংশ বেশি।
গতকালের লেনদেন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বীমা খাতের বড় ভূমিকা ছিল। তবে গত তিন সপ্তাহের লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটেগরিভুক্ত ১০ থেকে ১৫টি শেয়ার সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে, যেগুলো কোনোভাবেই ওই দুই ক্যাটেগরিতে থাকার কথা নয়। লভ্যাংশ না দেওয়ায় বা ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে এসব শেয়ার ২০২০ সাল থেকেই ‘জেড’ ক্যাটেগরিভুক্ত হওয়ার কথা ছিল। ডিএসইতে এমন শেয়ার রয়েছে ৫৯টি।
গতকাল বীমা খাতের প্রায় দেড়শ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা মঙ্গলবার ছিল ৪৮ কোটি টাকারও কম। জানা গেছে, ব্যাংকান্স্যুরেন্স চালুর অনুমতি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারির খবর লেনদেন বাড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে গত দুই থেকে তিন সপ্তাহের লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, লেনদেন বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে সেন্ট্রাল ফার্মা, খুলনা প্রিন্টিং, অলিম্পিক অ্যাক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ডেনিম, ফু-ওয়াং ফুডস, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, আজিজ পাইপস, আনলিমা ইয়ার্ন, ইন্দোবাংলা ফার্মা, লিবরা ইনফিউশনস, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের মতো কিছু ‘বি’ ক্যাটেগরির শেয়ার। গত হিসাব বছর বা এর আগের কয়েক বছরে এসব কোম্পানি তাদের শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি বা এগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ।
২০২০ সালে জারি করা এক আদেশের মাধ্যমে এসব কোম্পানির ক্যাটেগরি পরিবর্তন ঠেকিয়ে রেখেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। অবশ্য ৪ ডিসেম্বর এক নির্দেশনা জারি করে সংস্থাটি ওই আদেশ প্রত্যাহার করে বলেছে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে স্টক এক্সচেঞ্জ এ ধরনের কোম্পানির ক্যাটেগরি পরিবর্তন করতে পারবে।
Posted ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin