নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
প্রায় দুই বছর আগে আব্দুল সোবাহানের মায়ের সঙ্গে তার বাবার ডিভোর্স হয়। এরপর সোবাহানের মায়ের বিয়ে হয় রাজশাহীতে। বাবা শাহিনুরও অন্যত্র বিয়ে করেন। বাবা-মায়ের এই বিচ্ছেদ শিশু মনে প্রভাব ফেলেছে। এরমধ্যেই গত ২০ ডিসেম্বর শিশুটির মা রাজশাহী থেকে তার বাবার বাড়ি হিলিতে বেড়াতে যান। সঙ্গে শিশু সোবাহানকে নিয়ে যান।
সেখানে দুইদিন রাখার পর গত ২৩ ডিসেম্বর শিশুটির মা তাকে আবার তার বাবার কাছে রেখে রাজশাহী ফিরে আসেন। এদিকে শিশু সোবাহান মায়ের মমতা সার্বক্ষণিক পাওয়ার আশায় ব্যাকুল হয়ে ওঠে। সে গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে জয়পুরহাট রেলস্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠে রাজশাহীতে চলে আসে। রাজশাহীতে ট্রেন থেকে নেমে তার মাকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু মায়ের ঠিকানা না জানায় সে টার্মিনালেই রাত যাপন করে। এরপর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে এসে কাঁদতে থাকে। পরে মতিহার থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তার বাবার কাছে পৌঁছে দিয়েছে।
শিশুটির বাবা শাহিনুর বর্তমানে দিনাজপুরের হাকিমপুর থানার বাসুদেবপুর গ্রামে বসবাস করেন। সেখানে শিশু সোবাহান তার বাবা ও সৎ মায়ের সঙ্গে থাকে।
বুধবার দুপুরে আরএমপি’র মতিহার বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মধুসুদন রায় জানান, দিনাজপুরের হাকিমপুর থানার বাসুদেবপুর গ্রামের পাঁচ বছর বয়সী শিশু মায়ের খোঁজে রাজশাহীতে এসে হারিয়ে যায়। শিশুটিকে গতকাল উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে আরএমপি’র মতিহার থানা পুলিশ।
তিনি আরো জানান, মতিহার থানা পুলিশের একটি টিম শিশুটিকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তার সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করে কান্নাকাটির কারণ ও ঠিকানা জানতে চায়। তখন শিশুটি জানায়- তার বাড়ি হিলি সীমান্ত এলাকায়। সে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে রাজশাহীতে এসেছিল। পরবর্তীতে মতিহার থানা পুলিশ শিশুটির প্রকৃত পরিচয় জানার জন্য দিনাজপুরের হাকিমপুর থানায় যোগাযোগ করে। পরে জানা যায় ঐ থানায় একটি শিশু নিখোঁজের জিডি হয়েছে। সেখানে শিশু সোবাহানের পরিচয় শনাক্ত হয়। এরপর শিশু সোবাহানের বাবা শাহিনুর ইসলাম মতিহার থানায় আসেন। মতিহার থানার মঙ্গলবার রাতে শিশু সোবাহানকে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
Posted ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin