নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
হাওয়াই মিঠাই, এক প্রকার মিষ্টি জাতীয় খাদ্য। এটি মুখে দিলে দ্রুত মিলিয়ে যায় বলে এর নাম রাখা হয়েছে হাওয়াই মিঠাই। দেখতে কাঠির মাথায় যেন এক টুকরো গোলাপি কিংবা সাদা রঙের মেঘ। শিশুরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে এই খাবার। তবে অনেক সময় বড়দেরকেও এটি খেতে দেখা যায়।
তেমনই এক হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতা যুবক মো. সিদ্দিকুর রহমান। গত কয়েকমাস ধরে জীবিকার তাগিদে তিনি বিক্রি করছেন হাওয়াই মিঠাই। তার বাড়ি শরীয়তপুর জেলার ডাম্যুডা উপজেলার চরসিদুর গ্রামে। সেখান থেকে জীবিকার তাগিদে ছুটে এসেছেন ভোলায়। এ জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামাঞ্চল ও হাঁট-বাজারে ফেরি করে বিক্রি করছেন হাওয়াই মিঠাই।
লালমোহন পৌরশহরের হাওয়াই মিঠাই বিক্রিকালে কথা হয় সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে ঢাকায় রিকশা চালাতাম। সমস্যার কারণে ঢাকা থেকে বাড়িতে চলে আসি। দুই মাস আগে কোনো কাজ না পেয়ে এলাকার অন্যান্য হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভোলার দৌলতখানে চলে আসি। বর্তমানে দৌলতখানের একটি হোটেলে আমরা চারজন থাকি। প্রতিদিন সকালে হাওয়াই মিঠাই তৈরি করে সারাদিন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করি। প্রতি পিস হাওয়াই মিঠাই ১০ টাকা করে বিক্রি করি। এতে দিনশেষে ১৫শ টাকার মতো বিক্রি হয়। যেখান থেকে খরচ বাদে পাঁচশ টাকার মতো লাভ হয়।
হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই হাওয়াই মিঠাই তৈরি করতে লাগে চিনি এবং খাবারের রঙ। চিনি এবং রঙ একত্রে মিশিয়ে মেশিনের মাধ্যমে তৈরি করি এই হাওয়াই মিঠাই। তৈরি শেষে এক একদিন এক এক উপজেলায় গিয়ে বিভিন্ন পার্ক, মেলা, ওয়াজ মাহফিল ও উৎসবে এই হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করি। স্কুল-কলেজ খোলা থাকলে সেখানেও বিক্রি করি। হাওয়াই মিঠাই বিক্রিতে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে সংসার। সংসারে মা, বাবা ও এক মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী ছিল, তবে সে অন্যত্র চলে গেছেন।
লালমোহন বাজারে হাওয়াই মিঠাইয়ের ক্রেতা মো. কামরুল জানান, আমার পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে বাজারে এসেছি কাজে। এখন মেয়ে এই হাওয়াই মিঠাই খাবে। তাই তাকে একটি কিনে দিয়েছি।
রাকিব নামে এক শিশু জানায়, হাওয়াই মিঠাই খেতে ভালো লাগে। মুখে দিলেই আর নেই। তাই এটি আমার খুব পছন্দের।
সাত্তার ও সুমন নামে দুই অভিভাবক বলেন, শিশুদের অতি পছন্দের খাবার হচ্ছে হাওয়াই মিঠাই। আমরাও এটি খেয়েছি। খেতে খুব ভালো লাগে। মুখে দিলে যাদুর মতো হারিয়ে যায় এই হাওয়াই মিঠাই।
Posted ২:০৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin