নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত দিনদিন ঘনীভূত হচ্ছে। টানা গুলি বর্ষণ, মর্টারশেলসহ বিস্ফোরণের শব্দ কম্পন বাড়ছে সীমান্ত এলাকাজুড়ে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন থেকে শুরু করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় এমন শব্দ শুনা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান এবং বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন থেকে শুরু করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় গুলি বর্ষণ, মর্টারশেলসহ বিস্ফোরণের শব্দ শুনা যাচ্ছে। এসব এলাকায় অন্তত এক লাখের বেশি বাসিন্দা রয়েছেন। তারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানান, মিয়ানমারে সংঘাত বেড়েছে। সেখান থেকে ছোড়া গুলি, মর্টারশেল এসে পড়ছে সীমান্তের এপারের বসত ঘরে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে সরানো হয়নি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক জানান, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সীমান্তের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এছাড়া বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তেজনাকর। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দা ঝুঁকিপূর্ণ। প্রাথমিক অবস্থায় ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন।
তিনি আরো জানান, উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে। লোকজনকে আনতে স্থানীয় চেয়ারম্যান সহযোগিতা করছেন।
Posted ২:৫১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin