বুধবার ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেকোনো ধরনের বীজ আমদানি বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট

যেকোনো ধরনের বীজ আমদানি বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেছেন, ভবিষ্যতে সীমান্তমুক্ত বীজ আমদানি করা হবে। মূলত কৃষি খাতে উৎপাদন বাড়াতে উন্নত জাতের যেকোনো ধরনের বীজ আমদানি বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে।

সোমবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ভারতের উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের উচ্চফলনশীল বীজ বাংলাদেশে অবমুক্তি, চাষ ও উৎপাদনের জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করেছেন কৃষিমন্ত্রী।

ড. আব্দুস শহীদ বলেন, ফসলের উন্নত জাতের বীজ সীমান্তমুক্ত থাকলে আমরা উৎপাদন আরো বাড়াতে পারবো। খাদ্যে উদ্বৃত্ত হওয়াও সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, কৃষি গবেষণায় আমরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে চাই। দেশে কৃষি গবেষণার সুযোগসুবিধা ও বিজ্ঞানীর সংখ্যা বাড়াতে চেষ্টা করা হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বৈঠকে দুই দেশের কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এছাড়া সেচকাজে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার এবং বাংলাদেশকে রফতানি নিষেধাজ্ঞামুক্ত রেখে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।

বৈঠকে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারতেও মাঝেমধ্যে কোনো কোনো পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়, দাম বেড়ে যায়। সেজন্য অনেক সময় রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক সময় বিশেষ ছাড় বা স্পেশাল এক্সেমশন দেওয়া হয়ে থাকে।

কৃষি গবেষণা জোরদার করতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করার উপরও গুরুত্বারোপ করা হয় বৈঠকে। শিগগিরই উচ্চপর্যায়ের সাইন্টিফিক ভিজিটের মাধ্যমে গবেষণার অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হবে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, এগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা সবসময় আমাদের পাশে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। প্রায় ১ কোটি মানুষকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছিল, বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করেছিল, কখনো মনে হয়নি আমরা রিফিউজি হিসাবে ভারতে আছি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২:০৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]