নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
নওগাঁয় বাজারে কমেছে সবজির দাম। হাট-বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজিতে কমেছে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত। দাম কমায় ভোক্তাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে কৃষকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। অপরদিকে সপ্তাহের ব্যবধানের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা।
নওগাঁ পৌর পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে করলা ৭০ টাকা কেজি। করলা বাজার আসার পর থেকে একই দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেগুন কেজিতে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। শিম কেজিতে ২০ টাকা কমে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলু ৫-১০ টাকা কমে প্রকারভেদে ৩০-৪৪ টাকা, টমেটো ও পেঁপে ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা, গাজর ২০-২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০ টাকা কমে ৩৫-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ প্রতি পিস ২০ টাকা, বাঁধাকপি-ফুলকপি ও ব্রোকলি ৩০ টাকা পিস।
অপরদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১০৫ টাকা। এছাড়া নতুন রসুন ১২০-১৩০ টাকা কেজি।
চাষিরা বলছেন, জানুয়ারিতে জেলার ওপর দিয়ে বৈরী আবহাওয়া বয়ে গেছে। প্রচন্ড শীত ও কুয়াশায় শাক-সবজির ফুল ও লতাপাতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে সবজির উৎপাদন কম হলেও দাম বেশি ছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন থেকে আবহাওয়া ভালো হওয়ায় সবজির উৎপাদন বেড়েছে। এতে হাটে-বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। তবে কীটনাশকসহ পরিবহন খরচ রয়েছে আগের মতোই। সবজির দাম কমে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।
ক্রেতা আশফাক হোসেন বলেন, আগের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে। এতে বাজার ভালোভাবে করতে পেরে কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি। দাম বেশি কমলে আবার কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অপরদিকে পেঁয়াজের বাজার আবার বাড়ছে।
কৃষক সানোয়ার হোসেন বলেন, দেশি আলু বিক্রি করলাম ৩৭ টাকা কেজি। ওই আলু আমার কাছ থেকে কিনে ১০ হাত দূরে পাইকারিতে বিক্রি করা হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রে তাই। হাত বদল হলেই দাম বেশি।
পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানের কেজিতে দাম বেড়েছে ৩০-৩৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ৭০-৭২ টাকা ছিল। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১০৫ টাকা কেজি। দেশীয় পেঁয়াজ সংকটের কারণে দাম ঊর্ধ্বগতি। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি কয়েক টাকা লাভে বিক্রি করতে হচ্ছে।
Posted ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin