নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
মাগুরায় ফুলকপি চাষে সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। মাগুরা সদর, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজলার কিছু গ্রামাঞ্চলের কৃষকরা ফুলকপি চাষ করে আর্থিক ভাবে হয়েছেন লাভবান। ফলে দিন দিন বাড়ছে ফুলকপি চাষ।
কৃষক গৌতম মন্ডল, অচিন্ত্য বিশ্বাস ও আলিয়ার রহমানসহ অনেকেই জানান, শীতের শুরু থেকেই তারা ফুলকপি তুলে পাইকারি বাজারে বিক্রি করছেন, ভালো দাম পাচ্ছেন। অন্যান্য সবজির তুলনায় ফুলকপি খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর থাকার কারণে শীতের সবজি হিসেবে ফুলকপি অন্যতম এবং চাহিদাও অনেক বেশি।
ফুলকপিতে রয়েছে- প্রচুর ফাইবার আছে যা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’, যা সর্দি, ঠান্ডা, জ্বর, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড শরীরের হাড় শক্ত করে এবং রোগ প্রতিবোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই সবজিতে আছে প্রচুর আয়রন। রক্ত তৈরিতে আয়রন রাখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গর্ভবতী মা ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষের জন্য ফুলকপি অত্যন্ত জরুরি।
শালিখা উপজেলার বৈখালি গ্রামের ফুলকপি চাষি অচিন্ত্য বিশ্বাস বলেন, ৩০ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। নিয়মিত পরিচর্যা, সার ও সেচ দিয়েছি জমিতে। ৩০ শতক জমিতে এ চাষ আমার খরচ হয়েছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। আশা করছি এ বছর আমি ১ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব। বাজার বর্তমান ফুলকপি প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, অন্যান্য সবজির তুলনায় ফুলকপি চাষ খুবই লাভজনক। কিন্তু এ সবজি চাষে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। নিয়মিত সার, সেচ ও বাড়তি যত্ন করলে ফলন অনেক বেশি পাওয়া যায়। কৃষি বিভাগ থেকে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহযাগিতা করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা ফুলকপি চাষে জেলার কৃষকদের আরা উদ্বুদ্ধ করছি। কেননা শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপির রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। তাছাড়া ফুলকপি চাষে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
Posted ৭:২২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin