নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে পৃথক ঘটনায় ফাঁস দিয়ে এক সন্তানের জননী ও এক কলেজছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কলেজছাত্র সাব্বির মিয়া (২৩) ও একইদিন রাত ৭টার দিকে তরুণী রুপসা আক্তার (২৫) ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
মৃত সাব্বির মিয়া (২৩) উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের বিন্যাখালী গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী আব্দুর জব্বারের ছোট পুত্র ও সিলেট জালালাবাদ স্বুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। অপরজন, মৃত রুপসা আক্তার (২৫) উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের শিবপাশা কান্দিপাড়ের মোস্তাকিন মিয়ার স্ত্রী এক কন্যা সন্তানের জননী ছিলেন।
পুলিশ জানায়, সাব্বির পড়াশোনার সূত্রে সিলেট বসবাস করতেন। সপ্তাহখানেক পূর্বে তিনি বাড়িতে যান। সোমবার বিকেলে মায়ের কাছে ৩০ হাজার টাকা চান সাব্বির। তার মা টাকা পরে দিবে জানালে সন্ধ্যায় অভিমান করে সবার অগোচরে নিজ বসতঘরে ফাঁস নেন সাব্বির। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের নজরে আসলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশকে অবগত করা হয়। খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার এসআই সালাম ঘটনাস্থলে গিয়ে সাব্বিরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
অপরদিকে, একই দিন বিকেলে স্ত্রী রুপসা আক্তারের সঙ্গে ঢাকায় কর্মরত স্বামী মোস্তাকিনের মোবাইলে কথা বলার সময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথাকাটি হয়। এরই জের ধরে অভিমানে রাত ৭টার দিকে পরিবারের সবার অগোচরে নিজ বসতঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রুপসা। কিছুক্ষণ পর রুপসার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আলমগীর কবিরসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুপসা আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমেদ বলেন, সাব্বিরে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া নেয়ার জন্য পরিবারের লোকজন আবেদন করেছেন। আর রুপসা আক্তরের মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।
Posted ২:৪২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin