নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
চট্টগ্রামের পাটিসাপটা, বরিশালের দুধ চিতই, রাজশাহীর পানতোয়া, খুলনার মুখ চাহনি, রংপুরের সন্দেশ-নেভিকুলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছিটারুটি, নকশি (হান্দেশ), পোয়া ও ডুপিসহ (ভাপা) রয়েছে বাহারি জাতের পিঠা। বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে বানানো প্রায় ২০০ রকম পিঠা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজে হাজির হন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার কলেজে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই উৎসবে নানা জাতের পিঠার মাধ্যমে বাংলার ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে অবস্থিত কলেজ প্রাঙ্গণে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের পরিচালক এবং জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউসার।
পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি আবু কাউসার বলেন, ২০০ জাতের বাহারি পিঠা নিয়ে শিক্ষার্থীরা হাজির হয়েছেন। তাদের আয়োজনে দেশের গ্রামীণ সংস্কৃতি ফুটে উঠেছে। তারা সুন্দরভাবে আমাদের সংস্কৃতিকে সফলভাবে ফুটিতে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের আগ্রহ দেখে ভালো লেগেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ছয়টি স্টলে এসব বাহারি জাতের পিঠা নিয়ে হাজির হন। তারা ছয়টি স্টলের নাম দেন-রজনীগন্ধা, অর্কিড স্টোর, বেলী, কাঠগোলাপ, গরিবের পিঠা ঘর, হাসনাহেনা। রজনীগন্ধা স্টলে ৩৫ ধরনের পিঠা, অর্কিড স্টোরে ৩০ ধরনের, কাঠগোলাপে ২৬ ধরনের, গরিবের পিঠা ঘর ১২ ধরনের, হাসনাহেনাতে ৭৫ ধরনের, বেলী ৫০ ধরনের পিঠা দেখতে পাওয়া গেছে। এসব স্টলে মিষ্টি কুমড়া, মালাই রোল, ঝাল পাকন, শাহি টুকরা, সুয়াই, পাতা পিঠা, পাকন, পুডিং, ফুল পিঠা, নকশি পিঠা, দুধ পলি, ঝাল পাকন, কাপ পিঠা, মালপুয়া, দুধ চিতই, পিঠা, গোল পাক্কন, গাজরের হালুয়া, বিবিখানা, সুজির পিঠা, হৃদয় হরণ, ছিটা রুটি হাঁসের মাংস শামুক, শিউলি, ছাবুদানাদার, মরিয়ম ফুল, পোয়া, শাঝ, পাটি সাপটা, পুদিনা ভাপা, চট্টগ্রামের পাটিসাপটা, বরিশালের দুধচিতই, রাজশাহীর পানতোয়া, খুলনার মুখ চাহনি, রংপুরের সন্দেশ-নেভিকুলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছিটারুটি, পোয়া, নকশি (হান্দেশ), ভাপা (ডুপি), বেনি উল্লেখযোগ্য।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইবনে আইন মারুফ ও পরিচালক (প্রশাসন) হারুন অর রশিদ বলেন, প্রতি বছর কলেজের শিক্ষার্থীরা আগ্রহের সঙ্গে বাহারি জাতের পিঠা নিয়ে কলেজে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে থাকে। আমরাও কলেজের পক্ষ থেকে তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা দিয়ে থাকি। তাদের পিঠায় বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতি উঠে এসেছে।
অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারসহ ছয়টি স্টলের প্রত্যেককে পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। প্রতি বছর তাদেরকে আমরা অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক শাহাদৎ হোসেন এবং কলেজের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
Posted ১:১০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin