রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, পুলিশ দেশের জনগণের নির্ভরতার জায়গা। তাই পুলিশকে সবসময় বন্ধু হিসেবে জনগণের পাশে থাকতে হবে। জনগণকে নিঃস্বার্থ সেবা দিয়ে যেতে হবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার বঙ্গভবনে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪’ উপলক্ষে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, মানুষ বিশ্বাস করে পুলিশই তাদের সাহায্য করবে। জনগণকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে আস্থা অর্জনে আপনাদের আরো নিবেদিত হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সাধারণ মানুষ এখনো থানায় যেতে ভয় পায়। একেবারে বাধ্য না হলে কেউ থানায় যেতে চায় না। মানুষের মন থেকে অহেতুক ভীতি ও ঝামেলার শঙ্কা দূর করতে হবে।

আইনি সহায়তা পেতে থানায় আসা মানুষকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেবা দিতে পুলিশ সদস্যদের আরো নিবেদিত হওয়ার পরামর্শ দেন মো. সাহাবুদ্দিন।

রাস্তায় রাস্তায় রুটিন চেকিংয়ের নামে কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখার তাগিদ দেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজির কারণে ভোক্তা পর্যায়ে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণের কষ্ট বাড়ছে। এসব বিষয়ে পুলিশকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। যে বা যারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

জরুরি সেবা ৯৯৯, অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, অনলাইন জিডি ইত্যাদি সেবার প্রসঙ্গ তুলে রাষ্ট্র প্রধান বলেন, ভবিষ্যতে তথ্য প্রযুক্তিগত সেবার পরিধি বাড়াতে পুলিশকে আরো সচেষ্ট থাকতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ও সর্বোপরি শত বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য সুশাসনের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো আইনের যথাযথ প্রয়োগ।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশ ও জনগণের সেবায় সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

অনুষ্ঠানে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।