ফরিদপুর প্রতিনিধি | সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাটে দুই মাস ধরে লঞ্চ ও স্পিড বোট ভিড়তে পারছে না নাব্য সংকটের কারণে। ফলে প্রতিদিন হাজারো যাত্রীকে নামানো হচ্ছে দেড় কিলোমিটার দূরের বালুচরে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এ নৌরুটের যাত্রীরা।
জানা যায়, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গোপালপুর-মৈনট পদ্মার ঘাট দিয়ে আশপাশের পাঁচটি উপজেলার যাত্রীরা প্রতিদিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করেন। এ নৌরুটের যাত্রীরা স্পিড বোট ও লঞ্চে খুব অল্প সময়ে পদ্মা নদী পাড় হয়ে দোহার উপজেলা দিয়ে ঢাকা যাতায়াত করতে পারেন। কিন্তু চলতি শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকে পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাট পয়েন্টে বিশাল চর পড়ে নৌযান চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের লোকসান গুনছেন লঞ্চ মালিকরা।
স্থানীয় বাসিন্দা সোবহান শেখ বলেন, এই পথে ঢাকা যাতায়াতে অনেক সুবিধা। সকালে ঢাকা গিয়ে বিকেলে ফেরা যায়। কিন্তু নাব্য সংকটে বালুর মধ্যে হেঁটে যেতে পা আটকে যায়, ব্যাগ নিয়ে যেতে পারি না।
লঞ্চ ঘাটের টিকিট মাস্টার মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ঘাটটি ড্রেজিং না হওয়ায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে যাত্রীদের নামতে হচ্ছে। ফলে আমাদের যাত্রী একবারেই কমে গেছে এবং প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা লোকসান গুনছি।
জানা যায়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজার কয়েক মাস ধরে ঘাট এলাকায় কাজ করলেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। মালপত্র নিয়ে যাত্রীদের কষ্ট করে ঘাটে পৌঁছাতে হচ্ছে। উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাট পাড় থেকে পূর্বদিকে প্রায় এক কিলোমিটার পদ্মার পাড় এলাকাজুড়ে বালুচর পড়ে আছে। ফলে এ ঘাটে লঞ্চ ভিড়তে না পেরে প্রায় দেড় কিলোমিটার উত্তর দিকের উজানে পদ্মা নদীর হাজীডাঙ্গী গ্রামের বালুচরে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়।
ঢাকা থেকে আসা এক যাত্রী জানান, লঞ্চ ও স্পিড বোটে সহজে ঢাকা পৌঁছানো যায় বলে ৪০ বছর ধরে গোপালপুর ঘাট থেকে মৈনট ঘাট দিয়ে পদ্মা পারাপার ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষের প্রিয় নৌপথ।
চরভদ্রাসন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কাউছার বলেন, অপরিকল্পিত ড্রেজিং নাব্য সংকটের মূল কারণ। এতদিন ধরে ড্রেজিং হলেও আমরা এর সুফল পাচ্ছি না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, গোপালপুর থেকে মৈনট ঘাটের নাব্য সংকট দূর করতে ঊর্ধ্বতন মহলে আলোচনা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সম্মেলনেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সচিব বিষয়টি শুনে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। নৌপথ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও তদারকি করা হচ্ছে।
Posted ২:৪০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin