পাঁচ মাসের প্রেম। সেই প্রেমের জেরে তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন প্রেমিক তারিকুল। সম্প্রতি বিষয়টি জেনে যায় তরুণীর পরিবার। এরপর থেকেই প্রেমিক তারিকুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেন ওই তরুণী। কিন্তু তাতে রাজি হননি প্রেমিক। এমনকি ফোনেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ফলে বাধ্য হয়েই বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ি গিয়ে অবস্থান শুরু করেছেন ওই তরুণী। প্রেমিকাকে বাড়িতে দেখে পালিয়েছেন প্রেমিক।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল থেকে নরসিংদীর শিবপুর পৌরসভার বান্দারদিয়া এলাকায় প্রেমিক তারিকুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই তরুণী। প্রেমিক তারিকুল ইসলাম বান্দারদিয়া গ্রামের বাছেদ মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগী ওই তরুণী উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের কালুয়ারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

অনশনরত ওই তরুণী জানান, প্রায় পাঁচ মাস ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক তারিকুল তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। সম্প্রতি বিষয়টি পরিবার জেনে যায়। এরপর থেকেই তারিকুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে রাজি হননি তরিকুল। এমনকি ফোনেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে তিনি অবস্থান শুরু করেছেন। বিয়ে না করলে আত্মঘাতী হবেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে, পলাতক থাকায় প্রেমিক তারিকুল ইসলামের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা বাছেদ মিয়া বলেন, সম্প্রতি তার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্কের কথা শুনে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছে মেয়েটি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

পৌর কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তরুণীর অবস্থানের বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। পরিবারের কেউ আমার কাছে আসেনি।

শিবপুর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন জানান, অবস্থানের বিষয়টি নিয়ে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।