নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
২০২২ সালেই গর্ভপাত আইন বাতিল করেছিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। একাধিক অঙ্গরাজ্যে এই আইনের তীব্র বিরোধিতা হলেও বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে মান্যতা দেওয়া হয়। এবার নারী দিবসের প্রাক্কালে প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন পাঁচ নারী। তাদের অভিযোগ, জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও গর্ভপাতের অনুমতি পাননি তারা।
বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের মতো টেক্সাসেও গর্ভপাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। প্রাণসংশয় দেখা না দিলে টেক্সাসের চিকিৎসকরা গর্ভপাতের অনুমতি দেন না। এমন আইনের বিরুদ্ধে একজন অভিযোগ করেছেন, ‘মৃত সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা ছিল। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছিল যে আমার প্রাণসংশয় দেখা দেয়। তবুও গর্ভপাতের অনুমতি মেলেনি।’ অস্ত্রোপচার করতে দেরি হওয়ায় তার শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে এবং একটি ফ্যালোপিয়ান টিউব নষ্ট হয়ে যায় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অ্যামেন্ডা নামে ওই নারীর সঙ্গী হয়েছেন আরো চার নারী। তারাও টেক্সাসে থেকে গর্ভপাতের অনুমতি পাননি। পরে অন্য অঙ্গরাজ্যে গিয়ে তারা গর্ভপাতের অস্ত্রোপচার করেন।
আদালতে মামলা দায়ের করে এই পাঁচ নারীর অভিযোগ, ‘টেক্সাসের আইনের স্বচ্ছতা নেই। গর্ভপাতের অনুমতি দিলে চিকিৎসকদের জন্য কড়া শাস্তির আইন রয়েছে। তাই ভয় পেয়ে কোনো পরিস্থিতিতেই গর্ভপাতের অনুমতি দিচ্ছেন না তারা।’
এই পাঁচ নারীর হয়ে মুখ খুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি বলেছেন, ‘প্রয়োজনমতো চিকিৎসা না পেয়ে প্রায় মরতে বসেছিলেন এই পাঁচজন। আদালতের কাছে তারা যে আবেদন করেছেন, সেখানে আরো অনেক নারীর জীবন কাহিনী রয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে তারা সকলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন।
Posted ১:১০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin