নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০২ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতির মায়ের পাসপোর্ট প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপারে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ হাইকোর্ট বলেছেন, পাসপোর্ট কর্মকর্তা সিআইডির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে পারেন না।
মেহবুবা মুফতির মা গুলশান নাজিরের আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি এম এ চৌধুরী বলেছেন, পাসপোর্ট ইস্যু বা নবায়নের জন্য তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার কোনো কারণ নেই বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেছেন, পিটিশনকারীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের ছিঁটেফোটাও নেই, যা কোনো নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছেনন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি।
২০১৯ সাল থেকে খেয়ালখুশি মতো জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার স্থগিত করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে সেই অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় মেহবুবা চন্দ্রচূড়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
চিঠিতে মেহবুবা লিখেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থের নাম নিয়ে ভারত সরকার কঠোর নীতি নিয়েছে। এতে জম্মু ও কাশ্মীর উদ্বিগ্ন। সেখানে পাসপোর্ট ইস্যু করতে অস্বীকার এবং পাসপোর্ট কেড়ে নেয়ার বিষয়ও তুলে ধরেন তিনি।
মেহবুবা বলেন, আমার প্রবীণ মায়ের পাসপোর্ট সরকার স্থগিত করে রেখেছে। এ বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টে আমরা আবেদন করেছি। তারপর দুই বছরের বেশি পেরিয়ে গেছে; আমাদের তারিখের পর তারিখ দেয়া হয়েছে, কিন্তু কোনো সুরাহা চোখে পড়েনি।
তিনি আরো বলেছেন, আমার মেয়ে ইলতিজা এবং আমার পাসপোর্টও স্থগিত করা হয়েছে। এসব আমি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরছি। যদি একজন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং একজন সাংসদ হিসেবে আমার নিজের মৌলিক অধিকার এই হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি একবার কল্পনা করুন। আমার মা একজন সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্ত্রী। অজ্ঞাত কারণে তার পাসপোর্টও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। পাসপোর্ট পাওয়া একটি মৌলিক অধিকার।
সূত্র: এনডিটিভি
Posted ১২:৪৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০২ জানুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin