নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৩ কেজি ৬৮০ গ্রাম ওজনের একটি ভোল মাছ। মাছটির দাম উঠেছে ৮ লাখ টাকা। মাছটি নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেছে খুলনার সবচেয়ে বড় পাইকারি মাছের বাজার রূপসা কেসিসি পাইকারি মৎস্য আড়তে। বড় মুখের ভোল মাছটিকে দেখতে ভিড় করছেন অনেকে। কেউ কেউ মাছটির সঙ্গে সেলফি তুলছেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে আড়তে ভোল মাছটি নিয়ে আসেন সাতক্ষীরার আশাশুনির কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের জেলে মাসুম বিল্লাহ। সুন্দরবনের দুবলার চর এলাকা থেকে ভোল মাছটি ধরে নিয়ে এসেছেন তিনি।
মাসুম বলেন, ১০ জানুয়ারি ভোর ৬টার দিকে সুন্দরবনের দুবলার চরের বঙ্গোপসাগর থেকে মাছটি ভেহেন্দিজালে ধরা পড়ে। মাছটির প্রথম দাম হয়েছিল ৪০ হাজার টাকা কেজি। সে হিসেবে তখন দাম হয় ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পরে সিন্ডিকেট করে ওরা দাম কমিয়েছে ভোল মাছ বিক্রি না করে বাজারে নিয়ে এসেছি।
জেলে মাসুমের ছোট ভাই মারুফ বিল্লাহ বলেন, মাছটা যখন সমুদ্র থেকে চরে আসে তখন ৪০ হাজার টাকা কেজি দরে ২৩ কেজি ৬৮০ গ্রাম মাছের দাম হয় ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পরে মাছ রূপসার আড়তে নিয়ে আসা হয়েছে ভালো দামের আশায়। এখানে দাম ভালো না পেলে চট্টগ্রামে বিক্রি করবো।
তিনি আরো বলেন, ভোল মাছ খুবই কম পাওয়া যায়। বছরে দুই-একটি মাছ পাওয়া যায়। মূলত মাছের প্যাটা ও বালিশের কারণে দাম বেশি। আমরা শুনেছি এগুলো দিয়ে মেডিসিন ও প্রসাধনী তৈরি হয়।
পুলিশের এসআই কাজী মোস্তফা আজীজ বলেন, জেলেরা আমার পূর্ব পরিচিত। মাছটি ধরা পরার পর আমাকে ফোন দিয়ে জানায় তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে। মাছটি নিরাপদে যাতে তারা বিক্রি করতে পারে সেজন্য ভোরে বাজারে এসেছি।
কেসিসি রূপসা পাইকারি মৎস্য আড়তের মেসার্স মদিনা ফিস ট্রেডার্স পরিচালক মো. আবু মুছা বলেন, ভোল মাছ আগে কখনো দেখিনি। এটি একটি দুষ্প্রাপ্য মাছ। তবে বেশ কয়েক বছর আগে এ আড়তে একটি ভোল মাছ উঠেছিল।
তিনি আরো বলেন, সমুদ্রের সোনা খ্যাত ভোল মাছের চাহিদা অনেক, স্বাদেও অনেক মজা। সামুদ্রিক সব মাছেরই বালিশ (এক ধরনের মাছের পেটের ভেতরের অংশ) থাকে। তবে ভোল মাছের বালিশ সার্জিক্যাল অপারেশনের সুতা, প্রসাধনী ও ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি বিদেশে রফতানিও হয়ে থাকে। এ কারণেই ভোল মাছের এত দাম।
Posted ৭:১২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin