শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদানি বিতর্কে সেবিকে চিঠি পাঠালেন তৃণমূলের এমপি মহুয়া মৈত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

আদানি বিতর্কে সেবিকে চিঠি পাঠালেন তৃণমূলের এমপি মহুয়া মৈত্র

আদানি বিতর্কে টালটামাল ভারত। ২৪ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের লগ্নিসংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং কারচুপির একাধিক অভিযোগ উত্থাপন করার পর আদানি গ্রুপ বর্তমানে আগুনের মুখে পড়েছে। এর পর থেকেই আদানির কম্পানিগুলোর বাজার মূলধনের ক্ষেত্রে প্রচুর লোকসান করেছে। যদিও গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী হিন্ডেনবার্গের উত্থাপিত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবু বিতর্ক যেন বেড়েই চলেছে আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে। এবার সেই বিতর্কের মাঝেই আদানির বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য জানতে চেয়ে সেবি কে চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়াকে (সেবি) চিঠি লিখেছেন মহুয়া মৈত্র। জানতে চেয়েছেন আদানি গ্রুপ বর্তমানে সেবির অধীনে তদন্তাধীন কি না!

মৈত্র জানান, এর আগেও ২০২১ সালের ২১ জুন ও ৭ ডিসেম্বর সেবির কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেই চিঠিগুলোতে সেবিকে আদানি গ্রুপের এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর বিষয়ে তদন্ত পরিচালনা করতে বলেছিলেন তিনি। তবে ‘সেবি’ এখনো সেই চিঠিগুলোর জবাব দেয়নি বলে জানান মহুয়া।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) তার চিঠিতে মহুয়া সেবিকে প্রশ্ন করেছেন যে সেবি পূর্বের তদন্ত শেষ করলে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কি না! তদন্ত সম্পূর্ণ না হলে আদানি এন্টারপ্রাইজেস এফপিওর এবং আদানির ফ্ল্যাগশিপ ফার্মের চলমান শেয়ার বিক্রির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কৃষ্ণনগরের এই সংসদ সদস্য। কারণ সেবির রেগুলেশন ১৫৫ (ইস্য্যু অব ক্যাপিটাল অ্যান্ড ডিসক্লোজার রিকোয়ারমেন্টস)-এর অধীনে, যদি কম্পানির ডিরেক্টর বা প্রোমোটাররা সেবির তদন্তের অধীনে থাকে তবে সেই কম্পানি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পাবলিক সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বা অফার পরিচালনা করতে পারে না।

এর আগে ২০২১ সালের জুন মাসে সংসদে আদানি সম্পর্কে মহুয়া মৈত্রার উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আদানি কম্পানির কিছু তদন্ত সেবি করছে। এমনকি রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরও আদানির কিছু তদন্ত করছে।’ তবে আদানি গোষ্ঠী একটি প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে অবিলম্বে মৈত্রর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। তাদের ভাষ্যমতে, গ্রুপটি অতীতে সেবির কাছে নিজেদের ব্যাবসায়িক বিষয় উন্মোচন করেছে এবং তারা কোনো নতুন তদন্ত সম্পর্কে অবগত ছিল না। পূর্বের সেই বক্তব্য এবং আদানি গ্রুপের সিএফওর মাধ্যমে জারি করা সাম্প্রতিক বিবৃতি অনুসারে, আদানি গোষ্ঠী সাম্প্রতিক সময়ে সেবির তদন্তের অধীন ছিল না। মহুয়া মৈত্র মঙ্গলবার তার চিঠিতেও এটি স্বীকার করেছেন এবং তদন্ত প্রতিবেদন ও এখন পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে সেবির কাছে স্পষ্ট তথ্য চেয়েছেন।

যেহেতু আদানি এন্টারপ্রাইজের এফপিও আজ বন্ধ হয়ে গেছে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এই বিতর্কের প্রভাবে নিম্নমুখী হওয়া প্রথম দুই দিনের বিপরীতে আজ অনেক ভালো বিনিয়োগকারীর সম্পৃক্ততা রয়েছে আদানি গ্রুপের সঙ্গে। তাই এই মুহূর্তে এটি সেবির উত্তরের ওপর নির্ভর করছে যে আদানি গ্রুপের সমস্ত শেয়ার বিক্রি সেবির জারি করা নির্দেশিকা মেনেই করা হয়েছিল কি না!

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(218 বার পঠিত)
(195 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]