নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরিবর্তে মাত্র তিন জন দিয়েই চলছে স্বাস্থ্যসেবা। অভিযোগ উঠেছে, জনবল সংকটে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন হাসপাতাল প্রধানের গাড়িচালক।
সরেজমিনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সোলায়মান আলী মেহেদীর গাড়িচালক হিরালাল এক রোগীর প্রেশার চেকআপ করছেন। মাঝে-মধ্যে তিনি রোগীদের ড্রেসিংও করে থাকেন বলে জানা গেছে। শুধুমাত্র জনবল সংকটে ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কাজে একটি পদের বিপরীতে চারটি পদের কাজও করতে হচ্ছে বলে জানান কর্মচারী ও চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাড়িচালক হিরালাল বলেন, এই হাসপাতালে মাত্র তিন জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন পদ শূন্য রয়েছে। যে কারণে আমি জরুরি বিভাগে মাঝেমধ্যে রোগীদের প্রেশার চেকআপসহ ড্রেসিং করে থাকি। এটা আমি অতিরিক্ত কাজ মনে করি না। এটা করতে পারা আমার ভালো লাগে।
হাসপাতালে আসা মুরশিদা নামে একজন নারী জানান, জনবল সংকটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
এদিকে আলম হোসেন নামে অন্য এক রোগীর স্বজন অনেকটা আক্ষেপ করে জানান, হাসপাতালে প্রবেশের একমাত্র সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙাচোরার কারণে রোগী আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সোলায়মান আলী মেহেদী বলেন, ‘হেলথ সিস্টেম স্ট্রেনথেনিং (এইচএসএস) র্যাঙ্কিংয়ে চারবার প্রথম স্থানসহ সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থান ধরে রাখা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রতিনিয়ত ব্যাঘাত ঘটছে। এরপরও আমরা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে আমার ব্যক্তিগত গাড়িচালক হিরালাল জরুরি বিভাগে প্রেশার চেকআপসহ ড্রেসিং করে থাকে- এই বিষয়টি আমার জানা ছিল না।’
তবে সংশ্লিষ্ট দফতরে চাহিদা পাঠানোর প্রেক্ষিতে আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে এসব শূন্যপদ পূরণ করে সংকট সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ আলী।
উল্লেখ্য, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরিবর্তে বর্তমানে রয়েছেন মাত্র তিন জন। এছাড়াও তৃতীয় শ্রেণির ৭৫ কর্মচারীর মধ্যে ৪৪ এবং চতুর্থ শ্রেণির ২৩ জনের মধ্যে রয়েছেন মাত্র আট জন।
Posted ৩:৫০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin