সোমবার ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়মিত ছাত্র হয়েও ঢাবির পদস্থ কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট

নিয়মিত ছাত্র হয়েও ঢাবির পদস্থ কর্মকর্তা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) মুহাম্মদ আহসানুল কবির প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে অধ্যয়নরত অবস্থায়ই তথ্য লুকিয়ে এখানে পূর্ণকালীন চাকরি নিয়েছিলেন। পরে কৌশলে পান পদোন্নতিও।

 সর্বশেষ ২০১৮ সালে তিনি সেকশন অফিসার থেকে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার পরিপন্থি। তবে এসব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জেনেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সম্প্রতি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পদোন্নতি সিলেকশন কমিটিতে ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে পদোন্নতির আবেদন করেছেন। এতে বিষয়টি পুনরায় আলোচনায় এসেছে। 

তাঁর আবেদনের নথি, শিক্ষা সনদ ও চাকরির বিভিন্ন কাগজপত্রের অনুলিপি সমকালের কাছে এসেছে। এতে দেখা যায়, আহসানুল কবির ২০০৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স বিভাগের নিয়মিত বিবিএ কোর্সে ভর্তি হন। ২০০৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ (সম্মান) শ্রেণিতে অধ্যয়নরত থাকার তথ্য গোপন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস উল্লেখ করে অস্থায়ী নিম্নমান সহকারী হিসেবে এক বছর তিন মাস প্রশাসন-৩ শাখায় চাকরি করেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত বিবিএ (সম্মান) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাবির নিয়মিত এমবিএ কোর্সে ভর্তি হন।

পুনরায় তিনি এমবিএতে অধ্যয়নরত থাকার তথ্য গোপন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবিএ (সম্মান) উল্লেখ করে বিবিএ পাসের প্রশংসাপত্র ও বিভাগের গ্রেড ট্রান্সক্রিপ্ট দিয়ে বিজ্ঞাপিত শূন্য স্থায়ী উচ্চমান সহকারী পদে ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে প্রশাসন-৩ শাখায় যোগদান করেন। এরপর তিনি চাকরিরত অবস্থায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত এমবিএ কোর্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং এমবিএ সনদ গোপনে তাঁর ব্যক্তিগত নথিতে সংরক্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি উল্লিখিত সনদের পয়েন্টের সুবিধা নিয়ে ২০১০ সালে প্রধান সহকারী, ২০১৪ সালে সেকশন অফিসার এবং ২০১৮ সালে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এ বিষয়ে আহসানুল কবিরকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘কিছু জানতে হলে আমার অফিস থেকে জানতে পারবেন। আমার শরীরটা ভালো লাগছে না। আমি কিছু বলতে পারব না।’

রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার সমকালকে জানান, তাঁর নজরে আসার পর তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করে আবার নিয়মিত কোর্সে পড়ে– এটা তো মেনে নিতে পারছি না। ঘটনাটা কী হয়েছে, দেখব।’

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]