নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
দীর্ঘদিন ধরেই ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি নিয়ে সমালোচনা চলছে। সরকারের নানান উদ্যোগের পরও বন্ধ করা যাচ্ছে না এই অপকর্ম। এবার ছদ্মবেশে ৪ টিকিট কালোবাজারিকে হাতেনাতে আটক করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শনিবার (১৫ এপ্রিল) ট্রেনের চার টিকিট কালোবাজারিকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আয়েশা খাতুন (৩৫), আরাফাত মিয়া (৩২), বিপ্লব চন্দ্র দাস (২৯) ও মো. সালাউদ্দিন (৩০)। এর মধ্যে বিপ্লব চন্দ্র দাস রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আরএনবি সদস্য।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ডকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন আলোচিত সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবির মিলন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, অবশেষে অসাধ্য সাধন করে দেখালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ। তিনি সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইনসহ ছদ্মবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে টিকিট কালোবাজারি করার অপরাধে কমিউটার ট্রেনের একজন বুকিং ক্লার্ক, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) একজন সদস্য এবং দুইজন কালোবাজারিকে গ্রেফতার করেছেন। রেলের দুইজন সদস্যকে ৬ মাসের বিনাশ্রম এবং অপর দুইজনকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাহবুব কবির মিলন লিখেন, এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, একজন বুকিং ক্লার্ক, একজন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। মানে রক্ষকেই ভক্ষক। আর কালাবাজি দুইজনের মধ্যে একজন নারী।
আলোচিত সাবেক এ অতিরিক্ত সচিব লিখেন, ‘এক দিয়ে নিরানব্বইকে যাচাই করা চলে না। ২০১৫ সাল থেকে খুব ওতপ্রোতভাবে রেল নিয়ে কাজ করছি, তাদের সহায়তা দিয়েছি। দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতার বিচার বিশ্লেষণ, তথ্য উপাত্ত এবং গোয়েন্দা রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে নির্দ্বিধায় বলতে পারি রেলের কাউন্টারই হচ্ছে কালোবাজারির আখড়া এবং মূল উৎস।
কাজেই রেলের উচিত লোকাল, মেইল, কমিউটার এবং স্ট্যান্ডিং টিকিট (যদি তা আদৌ বহাল থাকে) ছাড়া অন্যসব ট্রেনের জন্য কাউন্টার টিকিট একেবারেই বন্ধ করে দেয়া,’ যোগ করেন মিলন।
সারা দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট রেল স্টেশনে অন্তত এই ঈদের সময় টিকিট কালোবাজারি দূর করার জন্য মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করার অনুরোধ জানান সাবেক এ অতিরিক্ত সচিব।
মিলন আরও উল্লেখ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলো। তিনি এই অভিশাপ দূর করবেন বলে কথা দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ। তাদের জন্য অনেক দোয়া রইল।
Posted ৩:৪২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin