সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীতি শিথিলতায় খেলাপি ঋণ কমেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট

নীতি শিথিলতায় খেলাপি ঋণ কমেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে

আমানতকারীর অর্থ ঠিকমতো ফেরত দিতে না পারাসহ নানা কারণে খারাপ অবস্থায় রয়েছে বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। পিপলস লিজিংসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের খারাপ অবস্থা জানাজানির পর পুরো খাতে তার নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ সুবিধায় এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ কমেছে।

গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ নেমেছে ১৬ হাজার ৮২১ কোটি টাকায়। মোট ঋণের যা ২৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এর তিন মাস আগে গত সেপ্টেম্বর শেষে ১৭ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা মোট ঋণের ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ ছিল খেলাপি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ঋণস্থিতি ৭০ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বর শেষে যা ছিল ৭০ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। এর মানে শেষ তিন মাসে ঋণ বেড়েছে মাত্র ১৯ কোটি টাকা। এ সময়ে খেলাপি ঋণ কমেছে ৫০৬ কোটি টাকা। এক বছর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে মোট ৬৭ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি ছিল ১৩ হাজার ১৭ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ছিল ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, তহবিল সংকটসহ নানা কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ তেমন বাড়ছে না। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ কমার মূল কারণ গত বছরের শেষ সময়ের ঋণ আদায়ে নীতি শিথিলতা। এ ছাড়া খেলাপি ঋণ আদায় জোরদারে বিভিন্ন পদক্ষেপ চলমান। বিশেষ করে তহবিল সংকটের কারণে টিকে থাকার তাগিদে এসব প্রতিষ্ঠান খেলাপি ঋণ আদায়ের চেষ্টা জোরদার করেছে।

গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে একজন ঋণগ্রহীতার যে পরিমাণ পরিশোধ করার কথা, কেউ ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে আর খেলাপি হবে না। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিয়মিত ঋণের ক্ষেত্রে এ সুবিধা দেওয়া হয়। অবশ্য কেউ যথানিয়মে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে আবার খেলাপি হবে। এ শিথিলতার ফলে শেষ সময়ে কিছু ঋণ আদায় হওয়ায় ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকা খেলাপি ঋণ সামান্য কমেছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতেও খেলাপি ঋণ কমেছে। এর পরিমাণ ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকায় নেমেছে। মোট ঋণের যা ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। তিন মাস আগে গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। আর হার ছিল ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। করোনার প্রভাব মোকাবিলায় ঋণ পরিশোধে ছাড় বাড়ানো এবং ঋণ পুনঃতপশিলের নতুন নীতিমালা সার্বিকভাবে খেলাপি ঋণ কমিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত বেশ আগে থেকেই খারাপ অবস্থায় পড়েছে। তবে আমানতকারীর অর্থ ফেরত দিতে না পারাসহ বিভিন্ন কারণে ২০১৯ সালে পিপলস লিজিং অবসায়নের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) একসময়কার নিয়ন্ত্রণে থাকা আরও তিন প্রতিষ্ঠান তথা বিআইএফসি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও এফএএস ফাইন্যান্সের নানা জালিয়াতির বিষয় সামনে আসে। তহবিল সংকট চলছে এসব প্রতিষ্ঠানে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:১৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]