নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবা নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ খানা আয় ও ব্যয় জরিপ এমনই বলছে। এতে দেখা যায়, জরিপকালীন সময়ের আগের ১২ মাসে অন্তত একজন সদস্য নতুন ব্যাংক হিসাব খুলেছেন– এমন খানা বা পরিবারের হার ছয় বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
খানা আয় ও ব্যয় জরিপ-২০২২ সম্প্রতি প্রকাশ করেছে বিবিএস। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, নতুন ব্যাংক হিসাব খোলার হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। ২০১৬ সালে যা ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১০ সালের জরিপে ছিল ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। বিবিএস বলেছে, নতুন ব্যাংক হিসাব খোলার হার বেড়ে যাওয়া আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে উন্নতির অন্যতম পরিমাপক।
হিসাব খোলার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সঞ্চয় এবং ঋণ গ্রহণের প্রবণতাও আগের চেয়ে বেড়েছে। যদিও ঋণ নিয়েছেন, এমন খানার হার সঞ্চয়ের তুলনায় কম। ঋণ গ্রহণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূল্যস্ফীতির চাপ এবং করোনা ও অন্যান্য কারণে প্রকৃত আয় কমে যাওয়াকে অন্যতম কারণ মনে করছে বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা।
জরিপকালীন সময়ের আগে ১২ মাসে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রেখেছেন ২১ দশমিক ৩০ শতাংশ। শহরে এ হার ২১ দশমিক ৮৫ এবং গ্রামে ২১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। ২০১৬ সালের জরিপে টাকা জমা করেছেন– এমন খানার হার ছিল ১৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। ২০১০ সালে যা ছিল ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। সমবায় সমিতি, ক্লাব বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রেখেছেন ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। ২০১৬ সালে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনসহ বিভিন্ন উৎস থেকে এক বছরে ঋণ নিয়েছে ৩৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। ২০১৬ সালে এ হার ছিল ২৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। গড়ে বার্ষিক ঋণের পরিমাণ ৭০ হাজার ৫০৬ টাকা। ২০১৬ সালের জরিপে যার পরিমাণ ছিল ৩৭ হাজার ৭৪৩ টাকা।
বিবিএসের জরিপে মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে (এমএফএস) হিসাব খোলার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত কিনা, তা নিশ্চত হওয়া যায়নি। তবে গত বছর প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ সূচক (ফিনডেক্স) ডাটাবেজ অনুযায়ী ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং এমএফএস প্রতিষ্ঠানে হিসাব থাকার হার ৫৩ শতাংশ। এর আগের হিসাবে ২০১৭ সালে যা ছিল ৫০ শতাংশ। ২০২১ সালে বাংলাদেশে এমএফএস অ্যাকাউন্ট থাকার হার দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। মোট ৫৩ শতাংশ অ্যাকাউন্টের মধ্যে ২৪ শতাংশের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে, ১৪ শতাংশের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও একই সঙ্গে এমএফএসে এবং শুধু এমএফএসে ১৫ শতাংশের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ২০১৭ সালে মোবাইল ব্যাংকিং বা এমএফএসে অ্যাকাউন্ট ছিল ৯ শতাংশ। অন্যদিকে, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাউন্ট থাকার হার ২০১৭ সালের ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২১ সালে দাঁড়িয়েছে ২৪ শতাংশে।
Posted ৮:১২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin